1. news@dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ : দৈনিক আলোকিত নিউজ
  2. info@www.dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ :
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে পুরোহিত ও সেবাইতদের সাতক্ষীরায় ৯ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ চুয়াডাঙ্গার নতুন পুলিশ সুপার উপ-পুলিশ কমিশনার গৌতম কুমার বিশ্বাস মিঠাপুকুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৫ জন শিক্ষক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ফুলকুঁড়ি বিজ্ঞানচক্র বান্দরবানের বিজ্ঞানমেলা অনুষ্ঠিত মাদক সেবনকারী এবং মানব পাচারকারীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মতবিনিময় সভায় অনুজা নওগাঁয় প্রেমের বিয়ের পর স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী নিহত পার্বতীপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে ২ মাদক সেবীর সাজা গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ কাতারের পর এবার ইয়েমেনে হামলা চালালো ইসরায়েল, নিহত-৩৫ পিটার হাসের কোম্পানি’ থেকে ১ লাখ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার

চোখের জলে মনুমেন্তালে মেসির বিদায়

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৪৭ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্কঃ

সম্ভবত দেশের মাটিতে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটা আজ সকালে খেলে ফেলেছেন মেসি। স্ত্রী-সন্তানসহ পুরো পরিবার এদিন সঙ্গ দিয়েছে মেসিকে।

ম্যাচের আগে সন্তানদের সঙ্গে মেসি একান্ত সময় কাটানোর মুহূর্তও ছিল আবেগাপ্লুত করার মতোই। এমনকি গোলের পর সতীর্থদের সঙ্গে মেসির উদ্‌যাপনও ছিল বিশেষ কিছু।

বুয়েনস আয়ার্সের মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামের পরিবেশ আজ ভিন্ন এক রঙ, উচ্ছ্বাস, প্রত্যাশা আর খানিকটা বিষণ্ণতার মিশেলে তৈরি হয়েছিল। আকাশে তারার ঝিলিক না থাকলেও চারদিকে আলো ছড়াচ্ছিল কেবল একটি নাম, লিওনেল মেসি। দর্শকরা ধরেই নিয়েছে, এ ম্যাচ কেবল আরেকটি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলা নয়, বরং দেশের মাটিতে তাদের প্রিয় নায়কের শেষ লড়াই। সেই উপলব্ধি থেকেই গ্যালারির প্রতিটি আসন ভরে উঠেছিল আবেগে, প্রতিটি করতালি যেন মিশে গিয়েছিল বিদায়ের বিষণ্ণতার সঙ্গে।

ওয়ার্ম-আপে নামতেই দর্শকদের উল্লাসে গর্জে ওঠে পুরো গ্যালারি। মেসি মনোযোগ ধরে রাখার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু চোখের কোণে যে শিশির, তা চাপা রইল না। অনেকটা সময় পর মাঠে নেমে যখন সন্তানদের হাত ধরে এগোলেন, তখন মুহূর্তটি যেন ছাপিয়ে গেল ম্যাচের গুরুত্বকেও।

থিয়াগো, মাতেও আর সিরো, এই তিন শিশুর সঙ্গে হাঁটা তার দৃশ্যটিও হয়ে উঠল হৃদয়ছোঁয়া। গ্যালারির ভিআইপি বক্সে দাঁড়িয়ে ছিলেন অ্যান্তোনেলা রোকুজ্জো, পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে। যেন পুরো পৃথিবী এসে জড়ো হয়েছিল তার বিদায়ী মুহূর্তকে ঘিরে।

ম্যাচের প্রতিটি ছন্দে ছড়িয়ে ছিল সেই আবেগ। প্রথমার্ধের শেষভাগে লিয়ান্দ্রো পারেদেসের সূক্ষ্ম পাস থেকে দারুণ নিয়ন্ত্রণে ডি-বক্সে ঢুকলেন হুলিয়ান আলভারেজ। গোল করার সুযোগ তার সামনে ছিল, কিন্তু যেন মনে হলো এই রাত মেসির, তাই পাস বাড়ালেন অধিনায়কের উদ্দেশে। মেসি বল পেলে যেন এক মুহূর্তে থেমে গেল সময়। তার মায়াবী চিপ গোলরক্ষক আর দুই ডিফেন্ডারের মাথার উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে জড়াল জালে। মনুমেন্তালের আকাশ কেঁপে উঠল, হাজারো দর্শক একসঙ্গে গাইলেন, ‘মেসি আছে পাশে, আমরা যাবো সারা পথে।

দ্বিতীয়ার্ধে মেসি আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠলেন। খেলার ছন্দ পুরোপুরি নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিলেন তিনি। ৭৬তম মিনিটে দ্রুত নেওয়া ফ্রি কিক থেকে বল পান নিকো গনসালেস, তার ক্রসে হেড করে গোল করেন লাউতারো মার্তিনেজ। স্কোরলাইন তখন ২-০, আর গ্যালারি গর্জে উঠেছিল দ্বিতীয়বারের মতো। কিন্তু আসল জাদুটি বাকি ছিল। কিছুক্ষণ পর থিয়াগো আলমাদার সঙ্গে চমৎকার এক সমন্বয় তৈরি করে গোল করলেন মেসি। জোড়া গোল পূর্ণ করলেন তিনি, আর বাছাইপর্বে গোলসংখ্যা বাড়ালেন আটে। সেই সঙ্গে ছাড়িয়ে গেলেন লুইস দিয়াজকে, উঠে গেলেন সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে।

এরপরও ক্ষুধা মেটেনি। আবারও গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে এক অপূর্ব চিপ করেন মেসি, দর্শকরাও ভেবেছিল হ্যাটট্রিক হয়ে গেল। কিন্তু বেরসিক রেফারির বাঁশি জানিয়ে দিল, অফসাইড। গোল না হলেও তাতে আবেগের ঘাটতি পড়েনি। দর্শকরা তখনও হাততালি দিচ্ছিলেন, হ্যাটট্রিক না হলেও তারা পেয়েছিলেন তাদের প্রিয় নায়কের পূর্ণতা। কারণ তাদের কাছে মেসির প্রতিটি ছোঁয়াই ছিল গোলের মতোই মূল্যবান।

প্রতিটি মুহূর্ত আসলে ফুটবল ছাপিয়ে এক আবেগঘন নাটকের মতো লাগছিল। দর্শকরা বুঝছিলেন, তারা এক মহাকাব্যের শেষ অধ্যায়ের সাক্ষী। দুই দশকের ক্যারিয়ার, ১৯৪ ম্যাচ, সর্বোচ্চ গোল, কাতারের বিশ্বকাপ, ব্রাজিলের কোপা আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্রের কোপা আমেরিকা -সব মিলিয়ে এক মহীরুহের মতো দাঁড়িয়ে আছেন মেসি। কিন্তু সেই মহীরুহও তো একদিন বিদায় নেয়। মনুমেন্তালের রাত সেই বিদায়ের প্রথম রেশ এনে দিল।

শেষ বাঁশি বাজল ৩-০ তে আর্জেন্টিনার দাপুটে জয় ঘোষণা করে। কিন্তু জয়টা কেবল মাঠের নয়, হৃদয়েরও। কারণ এই রাতের স্মৃতি আর্জেন্টিনার প্রতিটি হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবে। সন্তানদের হাত ধরে মেসির মাঠে প্রবেশ, চোখের কোণে জল, গ্যালারির করতালি, আর জোড়া গোলের উল্লাস, সব মিলিয়ে এটি ছিল এক অবিস্মরণীয় মহোৎসব।

এখন আর্জেন্টিনার সামনে ইকুয়েডরের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ, এরপর অপেক্ষা ২০২৬ বিশ্বকাপের। কিন্তু মনুমেন্তালের এই রাত, যেখানে এক ফুটবলার হয়ে উঠেছিলেন আবেগের প্রতীক, ইতিহাসের প্রতিধ্বনি, হয়তো কখনোই মুছে যাবে না। এই আলো, এই উল্লাস আর এই বিদায়ী হাসি চিরকাল বেঁচে থাকবে মানুষের স্মৃতির ভাঁজে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ,কলাম,তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট