
তোছাদ্দেকুর রহমান, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
গত বুধবার ২৪ ডিসেম্বর থেকে শনিবার ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৪ দিনেও লালমনিরহাটে সূর্যের দেখা মিলেনি। শীতে কাহিল লালমনিরহাটের জনজীবন। কনকনে ঠান্ডা বাতাস ও বৃষ্টির মতো ফোঁটা ফোঁটা শিঁশিরে শীতের তীব্রতায় বিশেষ করে লালমনিরহাটের তিস্তার তীরবর্তী ছিন্নমূল মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন। এতে হতদরিদ্র ও খেঁটে খাওয়া মানুষ ঘনকূয়াশা আর বাতাসে মাঠে- ঘাঠে কাজ করতে পারছেনা । শীতের তীব্রতায় ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে উচ্চ মূল্যের কারনে হতদরিদ্র পরিবারের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তাদের জীবন চলছে মানবেতর। বাসস্ট্যান্ড ও রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্ম থাকা ছিন্নমূল মানুষেরা তীব্র শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন। তীব্র শীত থেকে কিছুটা রেহাই পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালানো হলেও শীতের তীব্রতা থেকে নিস্তার পাচ্ছে না ওই সব মানুষ । শীত বেড়ে যাওয়ায় বোরো ধানের বীজতলা প্রস্তুতি ও চাষআবাদে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটছে। ঠান্ডা জনিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেশী, যারা শীতজনিত সমস্যায় ভূগছেন। সরকারি ও বেসরকারি ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করা হলেও চাহিদা তুলনায় অপ্রতুল।
এদিকে কুয়াশার কারনে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে যানবাহন ধীরগতি ও হেটলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে শীতের তীব্রতায় অটোরিকশা, রিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচলের সংখ্যা কমে গেছে। শীতের তীব্রতায় হাট- বাজার ও বন্দর শহরে লোকসমাগম খুবেই কম দেখা গেছে। জেলার নদী এবং চরাঞ্চল এলাকায় সাধারণ মানুষের সীমাহীন কষ্ট লহ্ম্যণীয়।