মাহিদুল ইসলাম আউলিয়া (রংপুর) প্রতিনিধিঃ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আমাইপু্র গ্রামের ঘরে ঘরে অ্যানথ্রাক্স দেখা দিয়েছে। এ গ্রামের ৯ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স সনাক্ত হয়েছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়নের আমাইপুর গ্রামে ইব্রাহিম মিয়ার একটি
অসুস্থ গরু জবাই করা হয়েছিল। এর মাংস থেকে ওই গ্রামে অ্যানথ্রাক্স রোগ ছড়িয়ে পড়ে। মাংস নাড়াচাড়া করে ওই সময়ে স্বাস্থ্য বিভাগ ৪ জনের দেহে অ্যানথ্রাক্সের উপস্থিত পায়। পরে, সংস্পর্শে আসা আরও ৫ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের লক্ষণ দেখা গেছে। সরেজমিনে উপজেলার আমাইপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, আ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগীরা শরীরে ক্ষত নিয়ে দিনযাপন করছেন। আক্রান্তদের অনেকেই স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়ার কথা জানান। ভুক্তভোগীরা জানান, প্রাণিসম্পদ দপ্তর গ্রামে কিছু গবাদিপুশুকে টিকা দিলেও এখনো অনেক বাড়ির গবাদিপশু টিকা পায়নি। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকেও আ্যানথ্রাক্স মোকাবেলায় তেমন কোন উদ্যোগ নেই। এ কারণে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে প্রায় ঘরে। ইতিমধ্যে উপজেলার আমাইপুর, দূর্গাপুর ও তরফসাদি গ্রামে আ্যানথ্রাক্স উপস্বর্গের রোগী পাওয়া গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছেন ৬ জন আ্যানথ্রাক্স রোগী রয়েছে তাদের চিকিৎসা চলছে। তবে বাস্তবে এই হিসাব অনেক বেশি। আমাইপুর গ্রামের দুই দিনমজুরের শরীরে এ রোগটি দেখা যায়,তাদের হাত, কোমর ও পিঠে আ্যানথ্রাক্সের ক্ষত রয়েছে। তারাও স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষুধ ও পাউডার ব্যবহার করছেন। এছাড়াও ওই গ্রামের অনেকেই শরীরে চুলকানি ও ছোট বড় ক্ষত নিয়ে আতংকে রয়েছেন। অনেকেই লোকলজ্জায় প্রকাশ করছেন না। এমনি এক গৃহীনি তার স্বামী বিদেশ থাকে। তিনি আ্যনথ্রাক্সে আক্রান্ত হলেও নিজেকে আড়াল করে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মিঠাপুকুর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলতাব হোসেন বলেন, উপজেলায় বর্তমানে গরুর সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ এবং দেড় লাখেরও বেশি ছাগল রয়েছে । সরকারি ভাবে ৩৪ হাজার গবাদি পশুর জন্য টিকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে, যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।
মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডা. রাশেবুল ইসলাম বলেন, আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকায় কমিটি গঠন করা হয়েছে।