
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলী উপজেলার ডালাচারা গ্রামের তরমুজ চাষী রিয়াজ প্যাদার চার হাজার তরমুজ চারায় আগাছা দমননাশক ঔষধ প্রয়োগ করে চারা মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তরমুজ চাষী রিয়াজ প্যাদা এমন অভিযোগ করেছেন। ঘটনা ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার কুকুয়া গ্রামের রিয়াজ প্যাদা দীর্ঘদিন ধরে তরমুজ চাষ করে আসছেন। এ বছর নভেম্বর মাসে তিনি গুলিশাখালী ইউনিয়নের ডালাচারা গ্রামের মফিজ ফকিরের তিন একর জমি এক বছরের জন্য ৪০ হাজার টাকায় বন্দোবস্থ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন। ওই জমিতে তিনি চার হাজার তরমুজ চারা রোপন করেছেন। অভিযোগ রয়েছে তরমুজ চাষের জন্য জমি প্রস্তুতকালীন সময়ে ওই গ্রামের নজরুল ইসলাম মুন্সি তাকে বাঁধা দেয়। পরে তিনি থানায় অভিযোগ দেন। পুলিশের নির্দেশে তিনি ওই জমিতে তরমুজ চারা রোপন করেন। বুধবার গভীর রাতে ওই চার হাজার তরমুজ চারা গাছে দুর্বৃত্ত¡রা আগাছা দমননাশক ঔষধ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে চাষী রিয়াজ প্যাদা খেতে গিয়ে তরমুজ চারা ঢলে পরতে দেখে তার সন্দেহ হয়। পরে তিনি স্থানীয় ও উপজেলা কৃষি বিভাগ কর্তৃপক্ষকে ডেকে তরমুজ খেতে আগাছা দমননাশক ঔষধ দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
তরমুজ চাষী রিয়াজ প্যাদা বলেন, মফিজ ফকিরের কাছ থেকে তিন একর জমি এক বছরের জন্য ৪০ হাজার বন্দোবস্থ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছি। ওই জমি প্রস্তুতকালীন সময়ে নজরুল ইসলাম মুন্সি চাষাবাদে বাঁধা দিয়েছেন। পরে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ এসে জমিতে তরমুজ চাষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই জমিতে আমি চার হাজার তরমুজ চারা রোপন করেছি। তিনি আরো বলেন, বুধবার গভীর রাতে ওই জমির সমুদয় তরমুজ চারায় নজরুল মুন্সির লোকজন আগাছা দমননাশক ঔষধ প্রয়োগ করে গাছ মেরে ফেলেছে। এতে আমার অন্তত ২ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবী করছি।
এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম মুন্সি তরমুজ চারায় আগাছা দমননাশক ঔষধ দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। আমি কেন তার তরমুজ খেতে আগাছা দমননাশক ঔষধ দিতে যাব?
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ মোঃ রাসেল বলেন, আগাছা দমননাশক ঔষধ দেয়া তরমুজ চারা ভালো করতে কৃষককে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোহাম্মদ জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।