1. news@dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ : দৈনিক আলোকিত নিউজ
  2. info@www.dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ :
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বিএমইউজের রংপুর বিভাগীয় ২১সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন রাজবাড়ীর পাংশায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত ।।* নওগাঁর আত্রাইয়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উৎযাপন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে অনেকেই ফিরছে খালি হাতে তালায় স্বল্পমূল্যের ওএমএস’র আটা কিনতে দরিদ্র মানুষের দীর্ঘ লাইন পার্বতীপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত।। তরুণ কৃষি-উদ্যোক্তাদের জন্য ‘সামাজিক ব্যবসা তহবিল’ গঠনের আহ্বান গাজায় হামাসের সঙ্গে গোত্রের লড়াই, নিহত-২৭ আন্তর্জাতিক কণ্যা শিশু দিবস উপলক্ষ্যে মাদারীপুরে “রাইটস যশোর” নামক এনজিও কর্তৃক র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরার তালায় ১২ ফুট লম্বা বেগুনগাছ, দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় শিক্ষকদের ওপর হামলায় সরকারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে: হাসনাত

ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে অনেকেই ফিরছে খালি হাতে তালায় স্বল্পমূল্যের ওএমএস’র আটা কিনতে দরিদ্র মানুষের দীর্ঘ লাইন

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

আরিফুল ইসলাম,তালা, সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

খাদ্য অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত স্বল্প মূল্যের ওএমএস এর আটা কিনতে তালায় দীর্ঘ লাইন পড়ছে। নির্ধারিত দিনের ভোর থেকে বৃদ্ধা নারীসহ গৃহবধুরা লাইনে দাড়াচ্ছে। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়েও অনেকেই আটা না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছে। একই অবস্থা হচ্ছে পুরুষের ক্ষেত্রে-ও। কাজ বাদ দিয়ে আটা কিনতে আসা পুরুষদের অনেকেই ২/৩ ঘন্টা পর পাচ্ছে আড়াই কেজি আটা, অনেকেই তাও না পেয়ে বাড়ি ফিরছে। নিত্যদিনের অমানবিক এই ঘটনায় দরীদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষরা চোখে পানি নিয়ে যাবার সময় তা’ দেখে সাধারন মানুষের মানুষরাও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে তালা সদরের ওএমএস ডিলার আনোয়ার হোসেন আনু’র আটা বিতরণ কেন্দ্রে যেয়ে দেখা যায়, বৃদ্ধা ও গৃহবধু সহ প্রায় ৩শ নারীর দীর্ঘ লাইন। তাঁরা সকলেই ২৪টাকা কেজি দরের সরকারি আটা নিতে লাইনে দাড়িয়েছে। এঁদের কারও কোলে দুধের শিশু, কোনও নারী একেবারেই বৃদ্ধা আবার কেউ স্ট্রোকজনিত অসুস্থ্যতায় ঠিকমতো হাটা চলা করতে পারেনা। কমদামে সরকারি ৫ কেজি আটা কেনার জন্য যাওয়া-আসা মিলিয়ে ৩০/৪০ টাকা ভ্যান ভাড়া দিয়ে এই গরম এবং রোদের মধ্যে তাঁরা লাইনে দাড়িয়েছেন।
লাইনে দাড়ানো বৃদ্ধা ছবিরোন বিবি জানান, তিনি ভোর ৬টার সময়ে এখানে এসেছেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাঁর মতো আরও শত শত নারী এখানে এসেছে আটা কিনতে। শৃঙ্খলা বজায় রাখেতে ডিলারের কর্মীরা নারীদের লাইনে দাড়িয়ে দিয়েছেন। ছবিরোন বিবিসহ এঁদের মধ্যে অনেকেই ৩/৪ ঘন্টা অপেক্ষা করে ১ঘন্টার বেশি সময় লাইনে দাড়িয়েছেন। সেখানে থাকা আলেয়া বেগম বলেন, তিনি খানপুর থেকে ২০ টাকা ভ্যান ভাড়া দিয়ে এসে লাইনে দাড়িয়েছেন। লাইন থেকে সরে গেলে সে আজ আটা নাও পেতে পারে, একারনে রোদে-গরমে কষ্ট হলেও লাইন ভাংছেন না। এনাদের মতো লাইনে দাড়ানো সকলেই একই অবস্থার শিকার।
এবিষয়ে, ডিলারের প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তালায় মাথা প্রতি সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে ২৪ টাকা মূল্যে বিক্রি করার জন্য সরকারি ভাবে প্রতিদিন ৫০০ কেজি আটা বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন দুর-দুরান্ত থেকে শত শত নারী-পুরুষ আটা নিতে আসায় অনেকেই খালি হাতে ফিরে যায়। যেকারনে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সপ্তাহে ৫দিনের মধ্যে ১দিন নারীদের এবং ১দিন পুরুষের আটা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় মাথা প্রতি আড়াই কেজি করে আটা দিয়ে অধিক লোককে আটা দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারপরও চাহিদা পুরন না হওয়ায় প্রতিদিন লাইনে থাকা নারী ও পুরুষরা ধাক্কাধাক্কি করে আগে আটা নেবার চেষ্টা করে এবং তাতে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হয়। ঝগড়া ঠেকিয়ে অল্প আটা অধিক লোককে দিতে হিমশিম খেতে হয় কর্মীদের। এবিষয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং খাদ্য অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
এবিষয়ে, ওএমএস ডিলার মো. আনোয়ার হোসেন আনু জানান, প্রতিদিন ১০০ লোকের জন্য সরকার ৫০০ কেজি করে আটা বরাদ্দ দিচ্ছে। কিন্তু এই পরিমান আটা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। খাদ্য বিভাগের পরামর্শে মাথাপ্রতি ৫ কেজির স্থলে আড়াই কেজি আটা দেয়া হলেও প্রতিদিন দুর-দুরান্ত থেকে আসা প্রায় অর্ধেক সংখ্যক বৃদ্ধ ও দরিদ্র নারী-পুরুষ অমানবিক কষ্ট সহ্য করে খালি হাতে ফিরে যান, যা’ চরম অমানবিক। একারনে তিনি তালা উপজেলা সদরে আটা বরাদ্দে পরিমান বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানান।
এবিষয়ে তালা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, তালা সদরে যে পরিমান আটার চাহিদা রয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। তিনি বলেন, মাথা প্রতি ৫ কেজি করে আটা দেবার কথা থাকলেও অধিক জনসংখ্যা বিবেচনা করে আড়াই কেজি করে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তাতেও চাহিদা পুরন না হওয়ায় প্রতিদিন শতাধিক দরিদ্র মানুষ দীর্ঘ সময় কষ্ট করার পর খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। এবিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে তিনি জানান।
শাহাপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি আব্দুস সবুর জানান, এলাকায় মানুষের তেমন কাজ নেই। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনের বাইরে থাকায় ঘরে ঘরে তীব্র অভাব-অনটন চলছে। যে কারনে মানুষ প্রতিদিন অর্ধেক দামের সরকারি আটা কেনার জন্য এখানে ভোর থেকে লাইনে দাড়াচ্ছে। এরপরও অনেকেই আটা না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যাওয়ার ঘটনায় তিনি আটার পরিমান বেশি করে বরাদ্দের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ,কলাম,তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট