1. news@dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ : দৈনিক আলোকিত নিউজ
  2. info@www.dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ :
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে পুরোহিত ও সেবাইতদের সাতক্ষীরায় ৯ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ চুয়াডাঙ্গার নতুন পুলিশ সুপার উপ-পুলিশ কমিশনার গৌতম কুমার বিশ্বাস মিঠাপুকুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৫ জন শিক্ষক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ফুলকুঁড়ি বিজ্ঞানচক্র বান্দরবানের বিজ্ঞানমেলা অনুষ্ঠিত মাদক সেবনকারী এবং মানব পাচারকারীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মতবিনিময় সভায় অনুজা নওগাঁয় প্রেমের বিয়ের পর স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী নিহত পার্বতীপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে ২ মাদক সেবীর সাজা গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ কাতারের পর এবার ইয়েমেনে হামলা চালালো ইসরায়েল, নিহত-৩৫ পিটার হাসের কোম্পানি’ থেকে ১ লাখ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার

মানব জনম সার, এমন পাবে না আর -ড. আব্দুল ওয়াদুদ

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

ড. আব্দুল ওয়াদুদঃ

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশন প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’ পালন করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর প্রায় ৮ লাখ নারী পুরুষ ও আত্মহত্যা করেন, অর্থাৎ প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ১ জন নারী বা পুরুষ আত্মহত্যা করছেন। এ লেখাটি যখন পাঠক পড়ছেন তখন হয়তো দশ জন আত্মহত্যা করে ফেলেছেন আর প্রায় চল্লিশ জনের বেশি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। দুশ্চিন্তার বিষয় হলো, প্রতি বছরই এ হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সাধারণত দরিদ্র দেশগুলোতে আত্মহত্যার হার বেশি হলেও উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে জাপানে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি।

পৃথিবীর সুন্দর সব কিছুকে প্রত্যাখ্যান করে স্বেচ্ছায় নিজ জীবনাবসানের নাম আত্মহত্যা। আত্মহত্যা মানে নিজেকে নিজে খুন করা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞানুসারে আত্মহত্যা হলো স্বজ্ঞানে এমন একটি ভয়ানক কাজ করা যা কোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটায় এবং ব্যক্তি ঐ কাজের প্রত্যাশিত ফলাফল সম্পর্কে পূর্ব থেকেই পুরোপুরি অবগত থাকে।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে আত্মহত্যা একটি প্রতিরোধযোগ্য ভয়াবহ মেডিকেল এবং সামাজিক ব্যাধি। আত্মহত্যা কোন সমস্যার সমাধান নয় বরং সমস্যার কারণ। মায়ের সঙ্গে অভিমান করে দূর গাঁয়ের কিশোরী মেয়ে যেমন কীটনাশককে অবলম্বন করে পালিয়ে যায় জীবন থেকে, তেমনি মেগাসিটির অভিজাত উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিও তার অন্তর্জগতের তাড়িত বোধ থেকে রেহাই পেতে বেছে নেয় আত্মহননের পথ। এ তালিকা থেকে মুক্তি পায়নি ইউনিভার্সিটির প্রবীণ শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক, অভিনয়শিল্পী, সরকারী কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, পুলিশ থেকে শুরু করে স্কুলে পড়া ছোট শিশুও।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দেশে আত্মহত্যা করেছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ। বিবিএস’র জরিপ বলছে, বাংলাদেশে বছরে গড়ে আত্মহত্যা করছেন প্রায় ১৩ হাজার মানুষ। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে ঝিনাইদহে।

সাধারণত কিশোর-কিশোরীদের (টিনএজ) মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। আত্মহত্যার পেছনের অন্যতম কারণ ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা, একাকিত্ব, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, দারিদ্র্য, সামাজিক বৈষম্য, বেকারত্ব, দাম্পত্য কলহ, সম্পর্কে টানাপোড়েন, অভাব-অনটন, দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক ও মানসিক রোগ, পারিবারিক দ্বন্দ্ব-কলহ, সম্পর্কের অবনতি, মাদকাসক্তি, প্ররোচনা, হঠাৎ রেগে গিয়ে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারানো এবং দৈহিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন।

আত্মহত্যার চেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করার পরিসংখ্যান বহুগুণ বেশি। কেউ একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করলে, আত্মহত্যার কথা বললে কিংবা আত্মহত্যার চিন্তা করলে তার মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটানোর শঙ্কা অনেক অনেক বেশি থাকে।

আশাহীনতা, হতাশা,বিষন্নতা, অপরাধবোধ, অপমান, প্রতিশোধস্পৃহা আত্মহননে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। জীবনটাকে যখন অর্থহীন মনে করে, তখন পেতে চায় জীবন থেকে মুক্তি। তবে অনেক মনোবিজ্ঞানী এর পিছনে “Bipolar Disorder” -কে দায়ী করেন। তাদের মতে যারা বিষন্নতা এবং একই সাথে হর্ষোম্মতায় পালাক্রমে ভোগেন তাদের মধ্যেই এই প্রবণতা অধিক হারে দেখা যায়। Neurochemist -দের মতে Serotonin (যা বিপাক ক্রিয়ার একটি উপজাত) -এর সাথে আত্মহত্যার একট গভীর সম্পর্ক রয়েছে। যারা আত্মহত্যা করেছে তাদের ব্রেইনে অস্ত্রোপাচার করে এই Serotonin -এর ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে। অপর কিছু সংখ্যক গবেষণায় দেখা গেছে যারা আত্মহত্যা করতে চেষ্টা করতে চায় তারা সাধারণত সমস্যা সমাধানের ব্যপারে অন্যান্যদের চেয়ে বেশি rigid এবং চিন্তাধারায় তারা কম নমনীয় থাকেন।

জটিল মানসিক রোগ সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্তরা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে থাকে। ১০ শতাংশ সিজোফ্রেনিক রোগী আত্মহত্যা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০-৪০ শতাংশ রোগী অসুস্থ থাকা অবস্থায় অন্তত একবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। সিজোফ্রেনিক রোগীদের মধ্যে যাদের বিষণ্ণতার উপসর্গ থাকে, তারা আত্মহত্যাপ্রবণ হতে পারে। অনেক সিজোফ্রেনিক রোগী ‘গায়েবী আওয়াজ’ শোনে, চিকিৎসা শাস্ত্রের পরিভাষায় যাকে ‘Auditory Hallusination’ বলা হয়। অনেকে শোনে, কেউ তাকে উপদেশ বা আদেশ দিচ্ছে আত্মহত্যা করতে। অনেক রোগীই এই ‘গায়েবী’ আদেশটি অবশ্য পালনীয় হিসেবে গণ্য করে। অনেক সিজোফ্রেনিক রোগীর মধ্যে অস্বাভাবিক সন্দেহ ও ভয় থাকে, যা তাকে পর্যায়ক্রমে সমাজ থেকে দূরে ঠেলে দেয়, একাকী করে রাখে, যাতে রোগী এক সময় আত্মহত্যা করে। আবার কোন কোন রোগী সুস্থ হওয়ার পর্যায়েও আত্মহত্যার ঝুঁকিতে থাকতে পারে। কারণ, এ সময়টায় অনেকের রোগটি সম্পর্কে ধারণা হয়, ফলে নিজেদের অন্যদের চেয়ে আলাদা ও অস্বাভাবিক মনে করে।

সবচেয়ে যে কারনে বেশী মানুষ আত্মহত্যা করে তার নাম বিষন্নতা। বিষণ্ণতা মানসিক রোগগুলোর মধ্যে অত্যন্ত সাধারণ এবং ধ্বংসাত্মক একটি রোগ। কারণ এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি জীবন চলার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে এবং কোনো কোনো রোগী অবলীলায় আত্মহত্যার মাধ্যমে মুক্তি পেতে চেষ্টা করে এবং কখনো কখনো সফল হয়। তাই আর কিছু দিনের মধ্যেই হয়তো বিষণ্ণতা রোগটি পৃথিবীতে এক নম্বর ‘কিলার ডিজিজ’ হিসেবে পরিচিতি পাবে। যেকোনো লোক যেকোনো সময়ে বিষণ্ণতা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে শতকরা ১০০ ভাগ রোগীই ভালো হয়ে যেতে পারে। সারা বিশ্বে ক্রমবর্ধমান ডিপ্রেশনের এই ভয়াবহতা উপলব্ধি করেই ২০১৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের স্লোগান করা ছিল—‘ডিপ্রেশন: লেট’স টক’ অর্থাৎ ‘আসুন, ডিপ্রেশন নিয়ে আলোচনা করি’।

বর্তমানে বিশ্বে প্রায় তিনশ মিলিয়ন ডিপ্রেশনের (বিষণ্ণতা) রোগী রয়েছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ৫ জনের ১ জন কোনো না কোনো ধরনের ডিপ্রেশনে ভুগছেন। পরিবারের অনেকে জানেনই না যে, তাদের কোনো স্বজন ডিপ্রেশনে ভুগছেন। সমাজে ডিপ্রেশন সম্পর্কে রয়েছে ব্যাপক অজ্ঞতা, অসচেতনতা।
তরুণদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ বিষণ্ণতাজনিত আত্মহত্যা। ডিপ্রেশনের ভয়াবহ দিকটি হচ্ছে রোগী নীরবে-নিভৃতে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার (আত্মহত্যা) পথ বেছে নেন। ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ এই ডিপ্রেশন জনিত আত্মহত্যা। ডিপ্রেশন নিয়ে লজ্জা নয়। বিষণ্ণতা নিয়ে সচেতনতা প্রয়োজন। বিষণ্ণ রোগীর প্রতি সহমর্মিতার হাত বাড়ানো প্রয়োজন।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা। সাধারণত দু’ভাবে আত্মহত্যা সংঘটিত হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিকল্পনার মাধ্যমে আত্মহত্যা করে আর একটি হলো তাৎক্ষণিক উত্তেজনা বা তাড়নায় ইমপালসিভ আত্মহত্যা। পরিকল্পনাকারীদের মনে প্রথমে আত্মহত্যার ইচ্ছা জাগে, ইচ্ছার পর পরিকল্পনা করে, তারপর আত্মহত্যার জন্য attempt গ্রহণ করে।

এবার দেখা যাক আইন কি বলে-
আইনের চোখেও আত্মহত্যার প্রচেষ্টা গ্রহণকারী একজন অপরাধী। আত্মহত্যার পর যেমন থানায় খবর দিতে হয়, তেমনি আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও থানায় খবর জানানোর কথা বলা হয়েছে। আত্মহত্যার চেষ্টা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যদিও আইনটির প্রয়োগ নেই দেশে। সচেতন নয় মানুষ, সচেতন নয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও।
পেনাল কোড ৩০৯ ধারায় বলা আছে, যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করিবার উদ্যোগ করে এবং অনুরূপ অপরাধ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে কোন কাজ করে, সেই ব্যক্তি বিনাশ্রম কারাদন্ডে- যাহার মেয়াদ এক বৎসর পর্যন্ত হইতে পারে বা অর্থদণ্ড বা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডিত হইবে। অর্থাৎ আইন নিজের জীবন হরণের চেষ্টাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছে এবং এ কারণে যে তার স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করার অধিকার তার নেই।
বাংলাদেশে প্রচলিত দণ্ডবিধির (পেনাল কোড) ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যা প্ররোচনার শাস্তির কথা বলা হয়েছে। এ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি আত্মহত্যা করলে অনুরূপ আত্মহত্যা অনুষ্ঠানে সহায়তাকারী ব্যক্তির ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। ৩০৫ ধারায় বলা হয়েছে, শিশু বা পাগল বা মাতাল ব্যক্তির আত্মহত্যার প্ররোচনাদানকারীকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। অন্যদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)-এর ৯ক ধারায় নারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার শাস্তির বিধান উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোনো নারীর সম্মতি ছাড়া বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো ব্যক্তির ইচ্ছাকৃত কোনো কার্য দ্বারা সম্ভ্রমহানি হওয়ার প্রত্যক্ষ কারণে কোনো নারী আত্মহত্যা করলে ওই নারীকে অনুরূপ কার্য দ্বারা আত্মহত্যা করতে প্ররোচনা দেয়া হয়েছে বলা হবে। এ আইনেও ১০ বছর শাস্তির বিধান করা হয়েছে।

আত্মহত্যার ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিকে মনে রাখতে হবে- আত্মহত্যা মানে, আইন লঙ্ঘন করা, অপরাধ করা।
আত্মহত্যা মানে, ধর্মীয় অনুশাসন অবজ্ঞা করা।
আত্মহত্যা মানে সমাজে পচনশীল ক্ষত বাড়িয়ে দেয়া, সমাজকে পেছনের দিকে ঠেলে দেয়া।
আত্মহত্যা কখনো প্রতিবাদের অস্ত্র হতে পারে না- প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। আত্মহত্যার ইচ্ছা, আগ্রহ জয় করতে হবে। জয় করার নামই জীবন। জীবন থেকে পালিয়ে যাওয়া হচ্ছে কাপুরুষতা।
আত্মহত্যা মানে অন্যায়ের সাথে আপোষ করা। আত্মহত্যা মানে খুব সহজে হার মানা। আত্মহত্যার ঝুঁকি শনাক্ত করতে হবে স্বজনদের। ঝুঁকি শনাক্ত করে আত্মহত্যার পূর্বেই ভূমিকা রাখতে হবে আমাদের। কোন বিষন্নতা বা প্রতিবাদ নয়, আসুন একসাথে সকলে পৃথিবীতে বেঁচে থেকে বিষন্নতাকে জয় করি বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি। আর কোন আত্মহত্যা নয়, আত্মউপলব্দি করি পৃথিবীর সকল সুন্দরের। অসুন্দরকে দূর করি মৃত্যুকে দূরে সরিয়ে। বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলি হাতে রেখে হাত। ধর্ম, বর্ণ বা গোষ্টি নয়, আমাদের পরিচয় হোক আমরা সকলেই মানুষ। চাই স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি, স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য আমরা আমাদেরকে প্রস্তুত করি। নিজেকে ভালবাসতে শিখি, যারা আপনাকে নিয়ে ভাবছে-ভালবাসছে তাদেরকে ভালবাসতে শিখি, অন্ততঃ তাদের জন্য হলেও বাঁচতে শিখি। প্রতিজ্ঞা করি আর আত্মহত্যা নয়, সুন্দর সমাজ গড়তে আত্মরক্ষায় নিয়োজিত করি নিজেকে এবং সমাজকে। কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের অমর উক্তি “মানব জনম সার, এমন পাবে না আর”।

লেখক : ফিকামলি তত্ত্বের জনক,
শিক্ষাবিদ, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক,
ওয়াইল্ডলাইফ গবেষক

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ,কলাম,তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট