শিক্ষা ডেস্কঃ
রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসকের কাছে ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা নিজ ক্যাম্পাসে পরীক্ষা চেয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে। একই সঙ্গে তারা আরও আট দফা দাবি জানিয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসের কাছে এ স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে হবে নিজ নিজ ক্যাম্পাসে এবং তা পরিচালনা করবে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও খাতা মূল্যায়নের দায়িত্বও নিতে হবে সাত কলেজের শিক্ষককে।
শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি মধ্যে রয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসকের অধীনে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ। রেজিস্ট্রেশনের সব টাকা ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে জমা। নিজ নিজ ক্যাম্পাসে পরীক্ষা গ্রহণ। প্রশ্ন প্রস্তুতি ও খাতা মূল্যায়ন সাত কলেজের শিক্ষক দ্বারা সম্পন্ন। ৪০ কর্মদিবসের মধ্যে ফল প্রকাশ, নন-প্রমোটেড শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূরক পরীক্ষা ও সিজিপিএ শর্ত বাতিল। উপাচার্য নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের সব তথ্য হস্তান্তর। দাবিগুলো মেনে নিলেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সম্মতি। বিশ্ববিদ্যালয়সংক্রান্ত সব তথ্য ও নির্দেশনা কেবল অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে প্রকাশ। অধ্যাদেশ জারির পর সব শিক্ষার্থীর তথ্য নিজস্ব সার্ভারে স্থানান্তর ও নির্ধারিত ডিজাইনের আইডি কার্ড প্রদান।
পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়ে অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস শিক্ষার্থীদের দাবি সম্পর্কে বলেন, আমার কর্তৃপক্ষ ইউজিসি। ইউজিসিকে জানালে সরাসরি সিদ্ধান্ত নেবে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মের বাইরে যাবে না।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি পরীক্ষা না দেয়, আট মাস তারা পিছিয়ে যাবে। ফেব্রুয়ারির আগে কিছুই হবে না। অধ্যাদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়ার জায়গা নেই। আমি রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়ে পরীক্ষা দিতে বলেছি। ফি কমানোর যৌক্তিকতা থাকলে অবশ্যই কমবে।
নিজ ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া কোথাও পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন হয় না। যখন নিজ নিজ ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তখন ছাত্র ও শিক্ষক প্রতিপক্ষ হয়ে যাবে। হঠাৎ করে সিস্টেম ভেঙে দিলে কেউ পরীক্ষা নিতে পারবে না।