বিনোদন ডেস্কঃ
রকসংগীতের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও স্বীকৃত তারকাদের একজন ওজি ওসবার্ন মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিখ্যাত ব্যান্ড ব্ল্যাক সাবাথের প্রধান সংগীতশিল্পী হিসেবে ওসবার্ন হেভি মেটাল ধাঁচের ‘আয়রন ম্যান’ ও ‘প্যারানয়েড’-এর মতো গান সৃষ্টি করেছেন।
এ গায়িকা মাত্র তিন সপ্তাহেরও কম সময় আগে নিজ শহরে জীবনের শেষ কনসার্টে পরিবেশনা করেন। ‘প্রিন্স অব ডার্কনেস’ নামে পরিচিত এ তারকা মঞ্চে পারফর্মের সময় উপস্থিত ছিলেন তার অনুপ্রেরণায় গড়ে উঠা মেটালিকা, গানস এন’রোজেস-সহ কয়েকটি রক ব্যান্ডের শিল্পীরা।
ওসবার্নের পরিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, এ খবর জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। তবে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে চাই যে, আমাদের প্রিয় ওজি ওসবার্ন আজ (মঙ্গলবার) সকালে মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার পরিবারের সদস্যরা পাশেই ছিলেন। তিনি ছিলেন ভালোবাসায় ঘেরা
বিবৃতিতে তার মৃত্যুর কারণ জানায়নি পরিবার। তবে গত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। ২০১৯ সালে পারকিনসন রোগ শনাক্ত হয়।
প্রসঙ্গত, মাত্র ১৫ বছর বয়সে স্কুল ছাড়েন জন মাইকেল ওসবার্ন নামে জন্মগ্রহণকারী ওজি ওসবার্ন। পরে স্বল্প বেতনে কয়েকটি চাকরি করেন। সংগীত ক্যারিয়ার শুরুর আগে চুরির অভিযোগে কিছুদিন কারাভোগও করেছেন তিনি।
১৯৬০-এর দশকের শেষ দিকে গিটারিস্ট টনি ইয়োমি, বেসিস্ট গিজার বাটলার ও ড্রামার বিল ওয়ার্ডের সঙ্গে ব্যান্ড ‘ব্ল্যাক সাবাথ’ গড়ে তোলেন ওসবার্ন। ১৯৭০ সালে ব্যান্ডটির ব্ল্যাক সাবাথ মুক্তি পায়। তারপর ধীরে ধীরে আসে ‘প্যারানয়েড’, ‘মাস্টার অব রিয়েলিটি’র মতো অনেক প্ল্যাটিনাম হিট।
১৯৭৮ সালে ব্যান্ড থেকে বাদ পড়ে একক ক্যারিয়ার শুরু করেন ওসবার্ন। ১৯৮০ সালে মুক্তি পায় ‘ব্লিজার্ড অব অজ’ নামের অ্যালবাম। এ অ্যালবাম থেকেই প্রকাশ পায় বিখ্যাত গান ‘ক্রেজি ট্রেইন।’ পরের বছর প্রকাশ হয় ‘ডায়েরি অব আ ম্যাডম্যান’, যা ৫০ লাখ কপি বিক্রি হয়।