নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজধানীর উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের নিরবিচ্ছিন্ন চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এবং উৎসুক জনতার ভির সামলাতে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রবেশে কঠোরতা আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রবেশপথে কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখন থেকে ইনস্টিটিউটে প্রবেশ করতে হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিচয়পত্র দেখাতে হচ্ছে। রোগীর স্বজনদেরও জানাতে হচ্ছে, কার আত্মীয়, রোগীর নাম এবং কোন ওয়ার্ডে আছেন। পরিচয় নিশ্চিত হলেই মিলছে প্রবেশাধিকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বার্ন ইনস্টিটিউটের এক কর্মকর্তা জানান, সোমবার স্বজন ও দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ে চিকিৎসা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয় দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের। আহত রোগী ও রোগীর স্বজনদের কাছে গণমাধ্যম কর্মীদের বাড়তি ভিড় দেখা যায়। ফলে আজ সকাল থেকেই সেনাবাহিনীর সহায়তায় নিয়ন্ত্রণ কঠোর করা হয়েছে।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২৫ জন শিশু। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৭৮ জন। তাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।