বিজয় ত্রিপুরা,প্রতিনিধি বান্দরবান:
চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ জাকের হোসেন ৬ নং ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন ও ২নং ওয়ার্ড মেম্বার সন্তোষ কান্তি দাস। বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদরে এবার অভিনব কায়দায় রোহিঙ্গাদের ভোটার করেছে ১নং সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিনসহ ৩ ইউপি সদস্য। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেশের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় ভোটার করণে নির্বাচন কমিশনের কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এসব নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞার ফাঁকে সুকৌশলে রোহিঙ্গাদের করনো হচ্ছে ভোটার। স্থায়ী বাসিন্দাদের সাথে আঁতাত করে বেশ সুকৌশলে নগদ অর্থের বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের স্থানীয় বাসিন্দা বানিয়ে দেওয়া হয়েছে নাগরিক সনদ পত্র ও রোহিঙ্গা নয় মর্মে প্রত্যায়ন পত্র।আরো জানা গেছে, এক একজন রোহিঙ্গা থেকে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ভোটার করণের অভিযোগে অভিযুক্তরা হলেন,আলীকদম সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন, ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সন্তোষ কান্তি দাশ,৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ জাকের হোসেন ও ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন। এই বিষয়ে আলীকদম সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন আলোকিত নিউজ কে বলেন, আমার রোহিঙ্গাদের ভোটার করার কোন সুযোগ নেই, যদি ৮০ এবং ৮৫ সালের দিকে রোহিঙ্গারা এদেশে এসে তৎকালীন চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের মাধ্যমে ভোটার হয়ে থাকে, আমরা তাদেরকে বাদ দিতে পারি না। অনুসন্ধানে জানা যায়, আলীকদম সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড থেকে ভোটার আবেদন করা রোহিঙ্গা মো: ইব্রাহিম, তার পিতা হিসাবে সফুর আলমের নাম উল্লেখ থাকলেও মূলত সফুর আলম ইব্রাহিমের শ্বশুর। আবার আবুল কাশেম (মাতা ফাতেমা খাতুন) নামে এক রোহিঙ্গাকে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করিয়ে দেওয়ার কারণে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ইউপি সদস্য সন্তোষ কান্তি দাস।
এই বিষয়ে ইউপি সদস্য সন্তোষ কান্তি দাস রোহিঙ্গাকে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করিয়ে দেওয়ার কারণে ২০ হাজার টাকা নেওয়ার বিষষটি’কে অস্বীকার করেন এবং তিনি কোন ধরনের শোকজ পাননি বলে জানান।