
ডোমার প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় হঠাৎ করেই জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভোর থেকে সকাল, এমনকি বেলা বাড়লেও কুয়াশার ঘনত্ব এতটাই বেশি যে দিনের বেলাতেও যানবাহনে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বিশেষ করে ভোর ও সকালবেলা হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন শ্রমজীবী মানুষ, কৃষক ও শিক্ষার্থীরা। শীতের কারণে খেটে খাওয়া মানুষজন কাজে যেতে দেরি করছেন, অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না।
ডোমার-ডিমলা, ডোমার-নীলফামারীসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে ঘন কুয়াশার কারণে যান চলাচল ধীরগতিতে হচ্ছে। কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বেড়েছে। এ অবস্থায় চালকরা সতর্কতার সঙ্গে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন।
শীতের প্রভাব পড়েছে কৃষিখাতেও। কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে শীতকালীন সবজি ক্ষেত এবং বোরো বীজতলায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। অনেক কৃষক রাত ও ভোরে জমিতে আগুন জ্বালিয়ে ফসল রক্ষার চেষ্টা করছেন।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলে আরও কয়েকদিন শীতের তীব্রতা অব্যাহত থাকতে পারে। তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনাও রয়েছে। এদিকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ও বয়স্কদের হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে।
স্থানীয়রা দ্রুত শীতবস্ত্র বিতরণ ও স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।