
আলোকিত নিউজ ডেস্কঃ
দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং বাজেট ব্যয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর উপস্থিত ছিলেন।
দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বিগত জুনের পর প্রথমবারের মতো ৯ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। নভেম্বরের হিসাব অনুযায়ী এটি দাঁড়িয়েছে ৮.২৯ শতাংশে। চলতি অর্থবছরের সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মজুরি প্রবৃদ্ধির হার ৮.০৪ শতাংশে পৌঁছেছে, যা প্রকৃত আয়ের পরিস্থিতিকে ক্রমান্বয়ে শিথিল করছে।
কৃষি খাতে যথাযথ প্রণোদনা ও ব্যবস্থাপনার কারণে বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমন ধানের উৎপাদন ১৬০.৯৫ লাখ মেট্রিক টনে পৌঁছেছে। সরকারি খাদ্যশস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আশা প্রকাশ করা হয়েছে। আউশ ধানের উৎপাদন কিছুটা কম হলেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় মোট উৎপাদন ৭.২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের গ্রস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২.৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২৪ সালের আগস্টের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে প্রবাসী আয় ১৩.০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ে ১৭.১৪ শতাংশ বেশি।
মুলধনী যন্ত্রপাতির ঋণপত্র খোলার প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে ২৭.৭ শতাংশে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির তুলনায় বিশাল উন্নতি। শিল্পজাত কাঁচামাল আমদানির ঋণপত্র খোলার হার বেড়ে ৪০.৯৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আমদানির প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশে পৌঁছেছে, যা দেশের উৎপাদনশীল উন্নয়নে সহায়ক।
বিগত বছরগুলোতে ধারাবাহিক ঋণাত্মক চলতি হিসাব ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষে মাত্র -১৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নামিয়েছে। জুলাই-অক্টোবর চলতি অর্থবছরের হিসাব -৭৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে হলেও আর্থিক খাতে সুব্যবস্থাপনার প্রভাব স্পষ্ট।