
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে আজ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে তিনি এ যুক্তি তুলে ধরবেন।
প্রসিকিউশনের টানা পাঁচ দিনের যুক্তিতর্ক শেষে আজ আসামিপক্ষের পক্ষে সাফাই উপস্থাপন শুরু হচ্ছে। গত ১৬ অক্টোবর যুক্তিতর্ক শেষ করে প্রসিকিউশন পক্ষ শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি (মৃত্যুদণ্ড) দাবি করে। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ওই দিন রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিষয়ে আদালতের ওপরই সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেন।
প্রসিকিউশন তাদের যুক্তিতর্কে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারের শাসনামল বিশ্লেষণ করে গুম, খুন, হত্যাযজ্ঞসহ নানা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তুলে ধরে। এ সময় দলিল, তথ্য-উপাত্ত, এবং শহীদদের তালিকাও আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আমির হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য এক সপ্তাহ সময়ের আবেদন করলেও ট্রাইব্যুনাল তাকে তিন দিনের সময় মঞ্জুর করে। আজ সেই ধারাবাহিকতার প্রথম দিন।
এর আগে, গত ৮ অক্টোবর মামলার প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরকে টানা তৃতীয় দিনের মতো জেরা সম্পন্ন করেন আমির হোসেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল যুক্তিতর্কের সময়সূচি নির্ধারণ করে।
ট্রাইব্যুনাল-১ গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে। আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগনামায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার তথ্যসূত্র, চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার দালিলিক প্রমাণ এবং দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার শহীদদের তালিকা। মামলাটিতে সাক্ষী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ৮১ জনকে, আর ২৮ কার্যদিবসে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয় ৫৪ জন সাক্ষীর।