
রাজাপুর প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে জুনায়েদ নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষক গাব গাছের লাঠি দিয়ে মধ্য যুগীয় কায়দায় বেদম পিটিয়ে আবু বকর (১২) নামে এক ছাত্রকে আহত করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার গালুয়া দারুল কুরআন নূরানী কওমি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহত আবু বকর বর্তমানে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনার পর থেকে শিশুটি মানসিক ভাবে ভেঙে পরেছেন। শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের জখম ও চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হলেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ অভিযুক্ত জুনায়েদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যাবস্থা নেয়নি। আহত আবু বকর উপজেলার সাতুরিয়ার মিঞা বাড়ি এলাকার মহসিনের ছেলে এবং দারুল কুরআন নূরানী কওমি মাদ্রাসার হাফিজি পড়ুয়া ছাত্র।
আহত ছাত্র আবু বকর জানান, বাড়িতে বাবা মায়ের সাথে আমাকে কথা বলতে দিত না জুনায়েদ হুজুরে। সে বলত, বার বার বাড়ী কথা বললে মায়া বাড়ে। তাই লুকিয়ে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতার ছেলে তানভীরের মোবাইল ফোন থেকে আমার বাবার সাথে কথা বলায় শিক্ষক জুনায়েদ ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরে গাবগাছের লাঠি দিয়ে আমাকে সারা শরীরে নির্মমভাবে পেটায়। অভিযুক্ত শিক্ষক জুনায়েদ (২৬) সাতুরিয়া এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে।
আহত আবু বকরের পিতা মহসিন জানান, শিক্ষক জুনায়েদ’কে ফোনে আমার ছেলেকে না মারার জন্য অনুরোধ করছি কিন্তু তারপরেও তাকে চরম ভাবে মেরেছে, আমি তার শাস্তি চাই।
অভিযুক্ত জুনায়েদ জানান, আবু বকর কথা শোনেনা তাই তাকে কয়েকটি পিটুনি দিয়েছি, কিন্তু রাগের মাথায় মারা বেশি হয়ে গেছে।
মাদ্রাসার পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমান জানান,আবু বকর’কে যে ভাবে মারা উচিৎ ছিলো তার চেয়ে বেশি মারা হয়েছে। এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি কমিটির সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছে। এখন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিটিংএ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।