রাণীশংকৈল প্রতিনিধিঃ
সারা দেশের ন্যায় ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীগণ।
১৫ ই অক্টোবর ওর সাথে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রাণীশংকৈল কেন্দ্রীয় হাই স্কুল মাঠে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে ১. ২০% বাড়ি ভাতা প্রদান,২. ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা প্রদান, এবং ৩. ৭৫% উৎসব ভাতা বাস্তবায়ন।
শিক্ষক-কর্মচারীরা ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে কেন্দ্রীয় হাই স্কুল মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ র্যালি বের করেন। র্যালিটি উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে তারা মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
র্যালি শেষে শিক্ষকরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে চাইলে সেনাবাহিনী তাদের বাধা দেয়। পরে শিক্ষকরা উপজেলা পরিষদের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত রাখেন। সমাবেশে মাধ্যমিক, কারিগরি শিক্ষা ও মাদ্রাসার সকল শিক্ষক সংগঠন একত্রিত হয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যান, বিক্ষোভ সমাবেশে বাসিসের আহবায়ক প্রধান শিক্ষক মো: সোহেল রানা রানীশনকৈল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, বিটিএর প্রধান শিক্ষক সভাপতি মো : বাবর আলি, বি,এম,এস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পদমপুর কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন,মীর নাসেরিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মৌ: মো নজরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক নাসিরুদ্দিন, মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক জুলফিকার আলি, বাসিস এর কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়াসম্পাদক মো: মোশারফ হোসেন, এবিএস এম কামরুল হুদা,সহকারী শিক্ষক,পদমপুর উচ্চ বিদ্যালয়, বাসিসের জেলা সহ সভাপতি মো : ফেরদৌস আলম মানিক।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি শিক্ষকরা ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারি শিক্ষকদের মতো সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ায় তাদের জীবনযাপন দিন দিন কষ্টকর হয়ে উঠেছে।উক্ত সমাবেশে বিএনপি ও জামায়াত নেতৃত্ব বৃন্দ যৌক্তিক দাবীর সাথে একাত্মতা পোষন করেন, জামায়াতে ইসলামী সাধারণ সম্পাদক মো : রজব আলী, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মো: মিজানুর রহমান মাষ্টার, উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আল্লামা আল ওয়াদুদ বিন নুর আলিফ, পৌর বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মো শাহজাহান আলী, পীরগনজ বিএনপি সভাপতি মো জাহিদুর রহমান।
“আজকের মধ্যে যদি শিক্ষকদের তিন দফা দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন জারি না করা হয়, তাহলে আগামীকাল থেকে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।”
বিক্ষোভে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা অংশ নেন। কর্মসূচিতে বক্তারা শিক্ষক নির্যাতন ও লাঞ্ছনার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
এছাড়া মানববন্ধনে অংশ নিয়ে স্থানীয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ শিক্ষকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সব দল ও শ্রেণিপেশার মানুষের এগিয়ে আসা উচিত।
শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।