আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের পর হামাস যদি নিজেরা অস্ত্র সমর্পণ না করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট পক্ষ তাদের অস্ত্র জমা নেবে-এ কাজ আইডিএফকে নিয়ন্ত্রণ করার ওপর নির্ভরশীল করবে না।
ট্রাম্প মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, হামাস যত দ্রুত অস্ত্র ছেড়ে দেবে তত দ্রুত শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে; না হলে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজন হলে কঠোরভাবে নিরস্ত্রীকরণ কার্যক্রম চালাবে।
ট্রাম্প কীভাবে বা কার মাধ্যমে এই অস্ত্র জমা নেওয়া হবে, সেখানে মার্কিন সেনাবাহিনী সরাসরি অংশ নেবে কিনা-এসব বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাননি। একই সঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত এবং কার্যকরী ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও মার্কিন পরিকল্পনার পক্ষে সাড়া দিয়েছেন; তিনি বলেন, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপ অনুযায়ী হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে এবং গাজায় কোনো অস্ত্র কারখানা বা গোপন সরবরাহ থাকতে পারবে না। তবে হামাস এখনও নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক শর্ত মেনে নিতে রাজি নয়; তাদের শীর্ষ নেতারা নিরস্ত্রীকরণকে বাস্তবে অনুকূলে দেখছেন না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আইডিএফকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণে না নিয়ে হামাসের অস্ত্র সংগ্রহ-এটি বাস্তবায়ন করতে কঠোর মনিটরিং, আঞ্চলিক গ্যারান্টি এবং শক্তসমর্থ নজরদারি ব্যবস্থা প্রয়োজন। আশঙ্কা দিল্লেবহুল ও দ্রুতচলমান কোনো জোরপূর্বক পদক্ষেপ গাজায় নতুন উত্তেজনা বাড়াতে পারে।
বর্তমানেই প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে-হামাস রাজি না হলে নিরস্ত্রীকরণ কার্যক্রমকে কে বাস্তবে পরিচালনা করবে এবং তা কত দ্রুত কার্যকর করা হবে। এসব সিদ্ধান্তের সমন্বয়ে ভবিষ্যতে গাজার স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সহজ হবে কি না তা সময়ই নির্ধারণ করবে।