আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
চীনের সঙ্গে পুনরায় বাণিজ্যযুদ্ধের পথে হাঁটলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিরল খনিজের রপ্তানি সীমিত করায় বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্প এই ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ঘোষণায় ট্রাম্প জানান, চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আগত রপ্তানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। পাশাপাশি, আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যে ‘সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যারের’ ওপর নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করা হবে। এই পদক্ষেপ বর্তমান শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার নয় দিন আগেই কার্যকর হবে।
এ ছাড়া চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিলের হুমকি দিয়েও পরে জানান, বৈঠকটি এখনো বাতিল হয়নি। তবে দুই দেশের শীর্ষ নেতার মধ্যে আলোচনা হবে কিনা—সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই মার্কিন শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাণিজ্য উত্তেজনা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গাড়ি ও ইলেকট্রনিক পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত বিরল খনিজের ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প খাত তাৎপর্যপূর্ণভাবে চাপে পড়েছে। এর আগেও, চীনের রপ্তানি সীমিতকরণের জবাবে কিছু মার্কিন কোম্পানি, যেমন ফোর্ড, তাদের উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল।
চীন শুধু খনিজ রপ্তানি নিয়ন্ত্রণেই থেমে থাকেনি; তারা মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট কোয়ালকমের বিরুদ্ধে একচেটিয়া ব্যবসার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। এতে করে প্রতিষ্ঠানটির চলমান চিপ নির্মাতা অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াও স্থবির হয়ে পড়তে পারে।