আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধে শান্তি পরিকল্পনার প্রথম দফা কার্যকারে ইসরায়েল ও হামাস একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (৮ অক্টোবর) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথের এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান। আলজাজিরার।
ট্রাম্প বলেন, আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি—ইসরায়েল ও হামাস উভয়েই আমাদের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে সম্মত হয়ে স্বাক্ষর করেছে। খুব শিগগিরই সব জিম্মি মুক্তি পাবে এবং ইসরায়েলও সমঝোতার ভিত্তিতে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে।
এই ঘোষণার পর যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আশাবাদ দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই সংঘাতে হাজারো প্রাণহানি ও মানবিক বিপর্যয়ের পর এমন পদক্ষেপকে অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখছেন।
এদিকে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারও যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি এক্সে (পূর্বে টুইটার) পোস্ট করে জানান, আজ রাতে গাজায় শান্তি স্থাপনের প্রথম পর্যায়ের সব শর্ত ও বিধান বাস্তবায়নের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এর মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটবে, ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে আর কোনো বাধা থাকবে না।
তবে কাতার জানিয়েছে, চুক্তির বিস্তারিত শর্ত ও বাস্তবায়ন কাঠামো পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ‘প্রথম ধাপ’ কেবল শুরু। চূড়ান্ত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এখনো বেশ কিছু জটিল বিষয়—বিশেষ করে গাজার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ, হামাসের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ভূমিকা এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা উদ্বেগ—সমাধান বাকি রয়েছে।
জাতিসংঘও চুক্তির বিষয়টি স্বাগত জানিয়ে সব পক্ষকে অঙ্গীকার রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে। মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, এই চুক্তি টেকসই শান্তির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে, যদি সবাই সততা ও দায়বদ্ধতার সঙ্গে তা বাস্তবায়ন করে।