বিশেষ প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থই বিএনপির অগ্রাধিকার ভারত যদি স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের বিরাগভাজন হয়, তাহলে সে পরিস্থিতির দায় বিএনপির নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিবিসি বাংলার সঙ্গে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সম্পর্ক, ভবিষ্যৎ কূটনীতিক কৌশল এবং স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়ে এসব কথা বলেন তিনি। দুই পর্বে প্রচারিত এ সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় ও শেষ অংশ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) প্রকাশ করে বিবিসি বাংলা।
সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেন, ‘ভারত যদি স্বৈরাচারকে সেখানে আশ্রয় দেয় এবং বাংলাদেশের মানুষের বিরাগভাজন হয়, সেখানে তো আমাদের কিছু করার নেই।
এটা বাংলাদেশের মানুষই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তাদের সঙ্গে শীতল থাকবে। আমি আমার দেশের মানুষের সঙ্গেই থাকবো।’
বিএনপির সরকার ক্ষমতায় এলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রথমে বাংলাদেশ, তারপর অন্য কিছু। আমার দেশের স্বার্থ আগে, সেটাকে অগ্রাধিকার দিয়েই আমি যেটা করার করবো। আপনি যদি নির্দিষ্ট দেশের কথা বলেন, সেটা বিষয় নয়—আমার দেশের স্বার্থই আমার কাছে বড়।’
পানির ন্যায্য হিস্যা ও সীমান্ত হত্যা নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানাতে গিয়ে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যা চাই। আরেকজন ফেলানীর লাশ ঝুলতে দেখতে চাই না। মানুষের উপর আঘাত এলে সেটা কখনো মেনে নেওয়া যায় না।’
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ও পানি বণ্টন বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার সংশ্লিষ্ট বিষয়। এ বিষয়ে কোনো আপস নয়।’
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ‘বাস্তবমুখী’ কূটনীতি চান তারেক
তারেক রহমান জানান, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের প্রয়োজনীয়তা তিনি অস্বীকার করেন না, তবে তা হতে হবে ‘সমমর্যাদা ও পারস্পরিক স্বার্থ’ ভিত্তিক।
তিনি বলেন, ‘সম্পর্ক রাখতেই হবে—কিন্তু সেটি যেন সম্মানজনক হয়, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষিত হয়। সম্পর্কের শীতলতা বা উত্তাপ যদি জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে হয়, তাহলে সেটাই গ্রহণযোগ্য।’