ফায়েজুল কবীর,ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মাদারীপুর পৌর শহরের মহাশ্মশান ও সর্বজনীন শ্রী-শ্রী কালিমন্দির শহরের দরগাহখোলায় অবস্থিত। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সৎকার বা শবদেহ শেষকৃত্য ধর্মীয় আচারানুষ্ঠান এখানেই সম্পন্ন হয়ে থাকে। পৌর শহরের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাসিন্দা ছাড়াও এখানে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আগত শবদেহ সৎকার এখানে সম্পন্ন করা হয়। মহাশ্মশানটি দীর্ঘদিনের পুরাতন হওয়ায় এর বিভিন্ন স্থাপনা ও সৎকারাস্থান চুল্লি ভঙ্গুর ও জরাজীর্ণ হয়ে ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ায় এখানে শবদেহ পোড়ানোর জন্য একটি নতুন চুল্লি নির্মাণ (ইলেকট্রিক/ গ্যাসের) ও বৃষ্টির পানি থেকে শবদেহ ভিজে যাওয়া থেকে পরিত্রাণের জন্য উক্ত স্থানে একটি পাকা সেড নির্মাণের প্রয়োজন দেখা দেয়। এ প্রেক্ষিতে মহাশ্মশান ও শ্রী-শ্রী কালিমন্দির পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে ৭/৮ বছর আগে সাবেক পৌর মেয়র মোঃ খালিদ হোসেন ইয়াদ (যিনি ৫ আগষ্ট/’২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের পর আত্মগোপনে রয়েছেন) এর নিকট লিখিত আবেদন করা হয়। তাদের আবেদনের পরেও সেখানে তেমন কোনো সংস্কার বা নতুন কোনো চুল্লি, অথবা পাকা সেড তৈরীর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে মহাশ্মশান ও শ্রী-শ্রী সর্বজনীন কালিমন্দির কমিটির দায়িত্বে থাকা লোকজন পড়েন বিপাকে। এভাবেই জোড়াতালি দিয়ে চলছিলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখিত মহাশ্মশান ও কালিমন্দিরের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান । উক্ত বিষয়াদি মাদারীপুর পৌরসভার বর্তমান প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব হাবিবুল আলমের নজরে এলে তিনি বেশ কয়েকবার তা পরিদর্শন করেন এবং আজ রবিবার (২১ শে সেপ্টেম্বর) সকালে সেখানে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে মহাশ্মশান ও সর্বজনীন কালিমন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে উক্ত সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। এ প্রসঙ্গে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি অত্র প্রতিবেদক- কে বলেন, ইতিমধ্যে উল্লেখিত ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সংস্কার, আধুনিক শবদেহ সৎকার চুল্লি নতুন ভাবে নির্মাণ ও সৎকারের স্থানে পাকা সেড নির্মাণের লক্ষ্যে ৮ লক্ষ টাকার প্রাক্কলিত ব্যায়ের ও অর্থ বরাদ্ধের অনুমোদনের জন্য আমরা একটি লিখিত আবেদন প্রধান প্রোকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর- ঢাকার বরাবর প্রেরণ করেছি। এছাড়াও দ্রুত কিছু কাজ করার জন্য টিআর প্রদানেরও ব্যবস্থা নিচ্ছি। পৌর প্রশাসকের আন্তরিক এ প্রচেষ্টাকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সেখানে উপস্থিত থাকা লোকজনের সকলেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।