1. news@dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ : দৈনিক আলোকিত নিউজ
  2. info@www.dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ :
মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে শীতবস্ত্র বিতরণের শুভ উদ্বোধন অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক শিবগঞ্জে ডিএনসি–মোবাইল কোর্টের অভিযানে ৬ জন দণ্ডিত স্বেচ্ছাশ্রমে নদীর উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করলো যুবদল মান্দায় ভূমি সেবা সংক্রান্ত গণশুনানী অনুষ্ঠিত অবৈধ পুকুর খননকে কেন্দ্র করে কৃষক হত্যাকাণ্ড, বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি যশোর-২ বিএনপির প্রার্থী সাবিরা নাজমুল মুন্নির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ৯০ দিনের মধ্যে হাদি হত্যার বিচার সম্পন্ন হবে: আইন উপদেষ্টা ১৫ বছর পর বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ফের চালু করছে জাপান লালমনির হাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত

দেড়শো বছরের প্রাচীণ মাদারীপুর পৌরসভা নানান সমস্যায় জর্জরিত, উত্তোরণের আপ্রাণ চেষ্টায় কর্তৃপক্ষ

  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৪৮ বার পড়া হয়েছে

ফায়েজুল শরীফ,ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

পদ্মা-আড়িয়ালখাঁ, কুমার ও কীর্তিনাশা নদী বিধৌত দেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত মাদারীপুর জেলা ও এর পৌর শহর। ১৫০ বছর আগে বৃটিশ সরকারের আমলে ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দে মাদারীপুর পৌরসভাটি গঠিত হয়- যা ১১৬ বছর পরে এসে ১৯৯১ সালে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার মর্যাদা পায়। সে সময় চেয়ারম্যান ছিলেন ১ম চেয়ারম্যান ছিলেন ‘৭১ এর রণাঙ্গণের বীরমুক্তিযোদ্ধা খলিল বাহিনীর প্রধান খলিলুর রহমান খান ( মেজর খলিল)-। ১ম শ্রেণীতে উন্নীত হবার পরে এখানে পরবর্তীতে চেয়ারম্যান পদ বিলুপ্ত করে মেয়র পদ পূনর্বিন্যাস করা হয়। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর-৩ এবং ঢাকা-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ,ফ,ম বাহাউদ্দীন নাসিমের আপন ছোট ভাই মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ খালিদ হোসেন ইয়াদ এখানে পরপর ৩ বার মেয়র পদে নির্বাচিত হয়ে প্রভাব-প্রতিপত্তিতে একটানা ১৫ বছর অপ্রতিরোধ্য মেয়র হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার আমলেই সবচেয়ে বেশী পৌরসভার সরকারী খাল দখল ও নাজুক অবস্থায় চলে যেতে থাকে শহরের ড্রেনেজ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। জলাবদ্ধতায় পড়েন নাগরিকেরা- যা থেকে উত্তরণের জন্য যুগের পর যুগ ও বছরের পর বছর পৌরবাসি অপেক্ষা করলেও আজো এসব খাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির জন্য দলীয় সরকার বিহীণ এসময়ে এসব সরকারী খাল উদ্ধার করার এখনই মূখ্য সময় বলে মনে করেন পৌরবাসি। সাবেক পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদের কাছে পৌর নাগরিকদের সেবার চাইতে তার কাছে মূখ্য হয়ে উঠেছিলো আওয়ামী দলীয় রাজনীতিকীকরণ। আর এজন্য প্রভাবশালীদের দখলে চলে যেতে থাকে শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা ব্রটিশ আমলের তৈরী হওয়া ছোট-বড় অনেক খাল। দখলদার প্রভাবশালীদের মধ্যে সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান (বর্তমানে হত্যা ও দূর্ণীতির মামলায় কারা অন্তরীণ) ও তার পরিবারবর্গ প্রথমে তাদের বাসার সম্মুখ দিয়ে বয়ে চলা শকুনী-ইটেরপোল- গোপালপুর খালের অংশ দখল করে পাকা স্থাপনা তৈরী করেন এবং এরপর থেকেই শুরু হয় খাল দখলের মহোৎসব। এসব খালের মধ্যে রয়েছে আড়িয়ালখাঁ নদী থেকে শহরের মধ্য দিয়ে তৈরী হওয়া ষ্টেডিয়ামের পূর্বপাশ ঘেষে হরিকুমারিয়া-হাজিরহাওলা-রানাদিয়া খাল, শকুনী খাল, ইটেরপোল-ছয়না- গোপালপুর খাল, গৈদী খাল, কলেজ রোড হয়ে আমিরাবাদ খাল, কুলপদ্দি খাল, মহিষেরচর খাল সহ অন্যান্য খাল।

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সারাবছরই এসব খালে জোয়ার-ভাটার পানি থাকতো এবং কৃষকের কৃষি ও সেচকার্যে ব্যবহৃত হতো, কখনোই জলাবদ্ধতা তৈরী হতো না। এসব খালে সারা বছরই মানুষ বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছ শিকার করতো। প্রভাবশালীদের দখলের কারণে অস্তিত্ব হারাণো এসব খালের মধ্যে দু-একটির উপর দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন তৈরী হলেও এসব ড্রেনের বেশীরভাগই অকেজো এবং বেশীরভাগ সরকারী খাল আজো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সামান্য বৃষ্টি হলেই আটকে যায় এসব ড্রেণে পানি ও ময়লা-আবর্জনা এবং জলাবদ্ধতায় সীমাহীণ দূর্ভোগে পড়েন পৌরবাসি, তৈরী হয় মশার উপদ্রব । জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ৫ আগষ্ট /’২৪-এ আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে হত্যা-দূর্ণীতির মামলার আসামী সহ অন্যান্য মামলার আসামী হয়ে আ,ফ,ম বাহাউদ্দীন নাসিম দেশের বাইরে পালিয়ে যান ও তার আপন ছোট ভাই সাবেক মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ অজ্ঞাত স্থানে গা-ঢাকা দেন। এরপর এখানে মেয়র পদ ও পৌর নাগরিক সেবার শূণ্যতা ও বিড়ম্বনার তৈরী হলে পৌর নাগরিকেরা পড়েন বিপাকে। দৈনন্দিন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হতে থাকে মানুষ। পৌর এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার, মশক নিধন, পানি সঞ্চালন,জলাবদ্ধতা, ময়লার ভাগার ইত্যাদিতে নাজুক অবস্থার তৈরী হয়। এরই প্রেক্ষিতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপনে এখানে পৌর প্রশাসক হিসাবে উক্ত মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব হাবিবুল আলম- কে পদায়ন করেন। পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য শুরু হয় তার আন্তরিক প্রচেষ্টা। তাকে এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন সেখানে দীর্ঘদিন দায়িত্বপালন করা অত্যন্ত জনবান্ধব ও দক্ষ কর্মকর্তা(পৌর সচিব) খন্দকার ইলিয়াস আহম্মেদ ফিরোজ। সবাইকে সাথে নিয়ে বর্তমান পৌর প্রশাসক হাবিবুল আলম আনৃতরিকভাবে দিনরাত কাজের গতি বাড়িয়ে দিয়ে ও অফিস টাইমের বাহিরেও পরিশ্রমের ফলে নাগরিক সেবা আবার বৃদ্ধি পেতে থাকে। সরকারী খাল উদ্ধার, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, মশক নিধন, পয়ঃনিষ্কাশন ইত্যাদি প্রসঙ্গে সরাসরি তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন যে, আমরা সরকারী সব খালের পাশ থেকে অনেক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি, অনেকে তা সরিয়েও নিয়েছেন, আধুনিক ময়লার ভাগাড় তৈরীর পরিকল্পনা সহ ইটেরপোল-ছয়না- গোপালপুর খালের কিছু অংশে আমরা খনন কাজও চালিয়েছি, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের মশক নিধন টিম প্রতিদিন কোনো না কোনো এলাকায় ঔষধ ছিটাচ্ছে, যে কারণে মাদারীপুর পৌর এলাকায় এবার ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কম। জলাবদ্ধতা ও ময়লা-আবর্জনা থেকে পৌরবাসিকে রক্ষার জন্য আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা প্রতিদিনই কোনো না কোনো ড্রেণ পরিস্কার করছে, ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে নিচ্ছে। আমরা নিজেরাও রাতদিন তা তদারকি করছি। অপ্রতুল জনবল ও সরকারী অর্থ বরাদ্ধের সীমবদ্ধতা সত্বেও আমরা দিনরাত কাজ করছি। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান আমাদের চলমান রয়েছে এবং এটা আরো গতিশীল করা হবে, যতই প্রভাবশালী হোক না কেনো- দখল হওয়া সরকারী খালগুলো উদ্ধারেও আমাদের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ,কলাম,তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট