1. news@dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ : দৈনিক আলোকিত নিউজ
  2. info@www.dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
১৯৭১-এর জনযুদ্ধ: বিজয়ের প্রকৃত মালিকানা এবং ভূ-রাজনীতির সমীকরণ প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন হামলায় নিহত-৮ রাজারবাগ পুলিশ স্মৃতিস্তম্ভে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা-আইজিপির শ্রদ্ধা কালিগঞ্জে জুম্মার নামাজ শেষে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে কান বিচ্ছিন্নের অভিযোগ আগামী নির্বাচন হবে ঐতিহাসিক ও স্বচ্ছ : সিইসি হাদিকে বিদেশে নেওয়া হবে কি না, মেডিকেল বোর্ডের জরুরি বৈঠক টংগীবাড়ীতে গ্রামের সড়কে হাঁটতে বের হয়ে প্রাণ গেছে ৪ বছরের শিশুর নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত -১ আহত -৩ সৌদি আরবে গ্রেপ্তার ১৯ হাজারের বেশি প্রবাসী শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে সরাইল উপজেলা প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলি

জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রও গুঁড়িয়ে দিলো ইসরায়েল

  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫৩৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় নগরী গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একদিনে আরও অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে হামলার জেরে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৬ হাজার মানুষ।

এমনকি জাতিসংঘ পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রসহ বহু ভবন ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে, আর নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে ফিলিস্তিনিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র হামলায় একদিনে অন্তত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। নির্বিচারে বোমাবর্ষণে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে ভবনগুলো, ধ্বংস করা হয়েছে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলভিত্তিক আশ্রয়কেন্দ্রও।

শনিবার শুধু গাজা সিটিতেই নিহতের সংখ্যা ৪৯ জনে পৌঁছালেও গোটা গাজা উপত্যকায় এইদিন ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৬২ জন ফিলিস্তিনি। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, বোমাবর্ষণে গাজা সিটি থেকে অন্তত ৬ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

সংস্থাটির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, “অবরোধ আর লাগাতার হামলার মধ্যে গাজা সিটির বাসিন্দারা এখন অমানবিক পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছেন।”

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, গাজা সিটিকে দখলের লক্ষ্যেই ইসরায়েলি বাহিনী ধারাবাহিকভাবে বিমান হামলা চালাচ্ছে। প্রাণভয়ে মানুষকে পালিয়ে যেতে লিফলেট ফেলছে সেনারা।

আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, প্রতি ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরপর আবাসিক ভবন ও জনসেবামূলক স্থাপনায় বোমা ফেলা হচ্ছে, মানুষ নিরাপদে সরে যাওয়ার সময়ও পাচ্ছেন না। হামলার ধরন ও গতি স্পষ্ট করে দিচ্ছে, ইসরায়েলি সেনারা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আশ্রিত বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর ওপর ভয়াবহ চাপ সৃষ্টি করছে। বর্তমানে পশ্চিমাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ জড়ো হয়েছেন।

তবে হামলার পরও অনেকে গাজা সিটিতে থেকে যাচ্ছেন কিংবা দক্ষিণের শরণার্থী শিবিরে অমানবিক পরিস্থিতি দেখে ফেরত আসছেন। দক্ষিণে আল-মাওয়াসি ক্যাম্প ও দেইর আল-বালাহ এলাকা ইতোমধ্যেই অতিরিক্ত ভিড়ে জর্জরিত এবং বারবার ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে।

আল-শিফা হাসপাতালের প্রধান ডা. মুহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, মানুষ পূর্ব দিক থেকে পশ্চিমে সরে আসছেন, কিন্তু খুব কমসংখ্যকই দক্ষিণে পৌঁছাতে পারছেন। দক্ষিণেও জায়গা নেই, ফলে অনেকে আবার গাজা সিটিতেই ফিরে আসছেন।

এখনও প্রায় ৯ লাখ মানুষ গাজা সিটিতে অবস্থান করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলি সেনারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দাবি করেছে, গাজা সিটি থেকে ইতোমধ্যে আড়াই লাখের বেশি মানুষ পালিয়েছে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ,কলাম,তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট