ক্রাইম রিপোর্টারঃ
নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলাধীন স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের মোঃ আলী আকবর এর স্ত্রী মোছাঃ মাজেদা আক্তার বাদী হয়ে আটপাড়ার থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তারই প্রতিপক্ষ পাশ্ববর্তি গ্রামের মৃত চাঁন মিয়া ছেলে মোঃ আলতু মিয়া গংদের বিরুদ্ধে। মামলা সূত্রে জানা যায় গত ১৯/১/১৯ ইং তারিখে মামলার বাদীনির স্বামী মোঃ আলী আকবর মাটি কাটা ব্যাপার নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় প্রতিপক্ষ আলতু লোকজনের সঙ্গে, এর জের ধরে উল্লেখিত তারিখ বিকাল প্রায় ৩.৩০শে আলী আকবর কে পথরোধ ও আটকিয়ে ব্যাপাক মারধর করে। এসময় আলী আকবর প্রতিপক্ষের আঘাতে গুরুত আহত হয়। আহত ব্যক্তির চিৎকারে আশেপাশের থাকা লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে হামলাকারীদের কবল হতে উদ্ধার করে। নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে কর্মরত ডাঃ রোগীর অবস্থা শোচনীয় দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে আহত ব্যক্তি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা নড়ছে। এই ঘটনায় আহত ব্যক্তির স্ত্রী মোছাঃ মাজেদা আক্তার বাদী হয়ে আটপাড়া থানার মামলা করে। প্রতিপক্ষ আলতু সহ ৪ জন কে আসামি করে।যাহার আটপাড়া থানার মামলা নং ৫ উক্ত মামলাটি প্রায় ৬ বছর পর্যন্ত মামলার বাদি বিচারের আশায় আদালতে ঘুরছে। পরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ,নেত্রকোনা। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি গত ২৩/৬/২৫ ইং তারিখে মামলাটি রায় ঘোষণা করেন। মামলা নং – টি,আর, মামলা নং ১৪৭/১৯ ( জি, আর, মামলা নং ৫(২)১৯ ও আটপাড়া থানার মামলা নং ৫(১)১৯ ধারা দ্যা-পেনাল ১৮৬০ এর ৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৫০৬/১৪৪ উক্ত মামলার মোঃ আলতু সহ ৪ জন আসামি রয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক, মামলার দুই জন আসামি কে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।এতে মামলার বাদীনি মামলার রায় সন্তুষ্ট। কিন্তু আসামিগন জামিনে মুক্তিলাভ করে। বাড়ি এসে মামলার বাদী ও তার পরিবারবর্গ লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এই ভয়ে মামলার বাদী নিজ বাড়ি ছেড়ে, অন্য বাড়িতে প্রাণ রক্ষার বয়ে বসবাস করত। পরের গ্রামের ব্যক্তিবর্গকে বিষয়টি অবগত করিলে পুনরায় তারা মামলার বাদী কে নিজ বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।এই ঘটনার পূর্বের মামলার বাদী মাজেদা আক্তার গত ২৪/৬/২৫ তারিখে বিজ্ঞ এ্যাকিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নেত্রকোনা একটি মামলা দায়ের করেন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। যাহার দরখাস্ত নং ৩৫৫/২৫ এই নিয়ে পুরো এলাকায় আলোচনা সমালোচনা ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকগণ তথ্য সংগ্রহ করতে সরজমিনে গেলে গ্রাম ও এলাকা বাসীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা সততা স্বীকার করে বলেন আমরা কয়েকবার চেষ্টা করছি মীমাংসার জন্য কিন্তু আসামি পক্ষ বিষয়টি এগিয়ে যান। এ ব্যাপারে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করছে মামলার বাদি পরিবারবর্গ ও গ্রাম ও এলাকাবাসী। যারা তারা হলেনঃ হাজী শহীদ মিয়া, মোঃ বাবুল মিয়া, মোঃ একদিল মিয়া, মোঃ হাদিছ মিয়া, শাজাহান মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, মোঃ ইনু মিয়া, মোঃ এরশাদ মিয়া, মোঃ রহিম মিয়া,সহ আরোও অনেকেই প্রমুখ।