টুংগীপাড়া প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জে সাংবাদিক মো. শিহাব উদ্দিনকে প্রেসক্লাব কেন্দ্রিক কোন্দলে বীণা মামলায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের একটি দল। গত বুধবার ১৩ই অগষ্ট রাত আনুমানিক ৮টার সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে গোপালগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের সদস্য ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন গোপালগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ন- সাধারন সম্পাদক মো. শিহাব উদ্দিন প্রেস ক্লাব কেন্দ্রিক অন্তরদ্বন্দ ক্রোন্দলকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্র মুলক মিথ্যা মামলায় গেফতার করেছে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। বিগত কিছুদিন পূর্বে থেকে প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের সভাপতি জুবায়ের হোসেন ও সাধারণ সম্পাদকের মাঝে জাতিব জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ছবি সরিয়ে ফেলাকে নিয়ে এ মতভেদ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয় উভয়ের মাঝে। গত রবিবার ১০ই আগষ্ট সকাল আনুমানিক ১০টায় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সাব্বির জাতির জনকের ছবিটি পুনরায় ঐ জায়গায় ঝুলিয়ে দেয়। এসময় প্রেসক্লাবের অন্যান্য সাংবাদিকরা ভিডিও ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করেন। এখান থেকেই শুরু হয় ছবি টানানো সমর্থকদের উপর পুলিশ বাহিনীর অমানবিক নির্যাতন। একই সূত্র ধরে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন সাব্বির হোসেন্ । সাবিবর কে গ্রেফতার করিয়ে ১১ই আগষ্ট সভাপতি জোবায়ের হোসেন জাতির পিতার ছবি নামিয়ে ঐ স্থানে কোকো রহমানের জন্মদিন পালনের উদ্দেশ্য ব্যানার টানিয়ে পালন করেন তার জন্মদিন। জানা যায় সভাপতি জুবায়ের বিএনপির রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত। বর্বতমানে তিনি আরাফাত রহমান কোকে ক্রীড়া পরিষদের গোপালগঞ্জ জেলার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। অপরদিকে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এস,এম সাব্বির হোসেন সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা যায়।
জাতির জনকের ছবি টাঙানো দৃশ্য ধারণ করেনর সাংবাদিক শিহাব উদ্দিন সহ আরো অনেকে। ঐ ভিডিওকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৮টার সময় গোপালগঞ্জ জেলা ডিবি কার্যালয়ের এস,আই জুবায়েরের নেতৃত্বাধীন একটি দল সাংবাদিক শিহাবকে পুলিশ সুপার তাকে ডেকেছে বলে তুলে নিয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জানা যায় সাংবাদিক শিহাবকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাংবাদিক শিহাবকে গ্রেফতারের সময় গোপালগঞ্জ ডিবি পুলিশ দেখাতে পারেনি কোন আটক আদেশ কিংবা কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাও তারা দেখাতে পরেনি। জেলা পুলিশ সুপারের কথা মিথ্যা বলে তাকে তুলে নিয়ে গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতারের প্রায় ১২ ঘন্টা পর সাংবাদিক শিহাবকে কিছুদিন পূর্বে গোপালগঞ্জে এনসিপির আগমনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের পরবর্তী জেলখানা ভাংচুর সন্ধিগ্ন আসামি হিসাবে চালান দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে গত শুক্রবার গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট জানতে তার মুঠোফোনে জানার জন্য বার বার ফোন করলেওে তাকে পাওয়া যায় নি। সাংবাদিক শিহাব মোল্লার গ্রেফতারের ব্যপারটি জেলার সাধারণ মানুষের মাঝে পুলিশ প্রশাসনের উপর ভরসা উঠে যাওয়া সহ বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। কোন রাজনৈতিক দলের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে পুলিশের এরূপ ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড মনে করিয়ে দেয় বিগত দিনের রাজনৈতিক দলের পালিত পুলিশ বাহিনীর কথা বলে মতপ্রকাশ করেছেন সমাজের সচেতন সাধারণ মানুষ।