আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে নতুন এক আলোচনার পর্বে মুখোমুখি হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধ করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রস্তাব তুলে ধরেছেন পুতিন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান পুতিনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রাশিয়া দক্ষিণ ইউক্রেনে খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া ফ্রন্টে তার সামরিক অভিযান স্থগিত করতে রাজি হবে, যদি ইউক্রেন পূর্বাঞ্চলের পুরো দনবাস অঞ্চল রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে দিতে রাজি হয়।
যদিও বৈঠক শেষে কোনো চূড়ান্ত চুক্তির ঘোষণা হয়নি, মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আলোচনাটি জটিল ছিল এবং এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির পক্ষে এবং রাশিয়া সেই অবস্থানকে সম্মান জানায়। শান্তিপূর্ণ সমাধানই এখন একমাত্র পথ।” তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, “আমাদের আলোচনা একেবারেই খোলামেলা ছিল। যুক্তরাষ্ট্রও চায় যুদ্ধ বন্ধ হোক, আমরাও চাই কূটনৈতিকভাবে সমস্যার সমাধান হোক।”
অন্যদিকে, ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, এটি কোনো সাময়িক যুদ্ধবিরতির আলোচনা নয়, বরং একটি স্থায়ী শান্তিচুক্তির রূপরেখা তৈরি করার প্রয়াস। তিনি বলেন, তার পুতিনের সঙ্গে বৈঠক ‘অত্যন্ত সফল’ হয়েছে।
এছাড়াও ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও ফোনালাপ করেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, সেই কথোপকথন খুব বেশি ইতিবাচক হয়নি।
রয়টার্স জানায়, ট্রাম্প জেলেনস্কিকে পুতিনের সঙ্গে সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, “কিয়েভের সামরিক সক্ষমতা মস্কোর তুলনায় অনেক কম। তাই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত না করে কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে এগোনো উচিত।”
তবে এই আলোচনার মাঝেও যুদ্ধ থামেনি। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, মাত্র এক রাতেই রাশিয়া ৮৫টি ‘শাহেদ’ ড্রোন এবং একটি ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। কিয়েভ দাবি করেছে, এর মধ্যে ৬১টি ড্রোন তারা ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।