আলোকিত নিউজ ডেস্কঃ
ঢাকায় পাইপলাইনে জ্বালানি তেল আসা শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাইপলাইনে সরাসরি জ্বালানি তেল পরিবহণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন (কমিশনিং) করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গার গুপ্তখালে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডেসপাস টার্মিনালে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
জানা যায়, ৩ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)।
এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কয়েক দফায় জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। গত দেড় মাসে পরীক্ষামূলকভাবে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় প্রায় পাঁচ কোটি লিটার ডিজেল পাঠানো হয়েছে পাইপলাইনে।
২০১৫ সালে জ্বালানি পরিবহনের খরচ কমানো ও চুরি ঠেকানোর লক্ষ্যে এই পাইপলাইনের পরিকল্পনা গৃহীত হয়। সেবার বিপিসি একটি সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) সম্পন্ন করে এবং ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্ডিয়া লিমিটেডকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়। পরে নীতিগত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রকল্পটি এগিয়ে নেওয়া হয়।
২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ‘চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা জ্বালানি তেল পরিবহনের পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়। এ প্রকল্পের প্রাথমিক বাজেট ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা।
পাইপলাইনের দৈর্ঘ্য মোট ২৫০ কিলোমিটার। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ হয়ে ১৬ ইঞ্চি ব্যাসের ২৪১.২৮ কিলোমিটার এই পাইপলাইন নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল পর্যন্ত বিস্তৃত। এছাড়া গোদনাইল থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত ৮.২৯ কিমি দীর্ঘ ১০ ইঞ্চি ব্যাসের আরেকটি সংযোগ পাইপলাইন রয়েছে।
এই রুটে পাইপলাইন ২২টি নদী ও খাল পার হয়েছে, যার মধ্যে ১০টি বড় নদীও রয়েছে। এসব জায়গায় নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বের জন্য বেশিরভাগ অংশ নদীর তলদেশ দিয়ে স্থাপন করা হয়েছে।