সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ছেলে মেয়ে বিভেদ নাই – সবার জন্য শিক্ষা চাই শ্লোগানকে সামনে রেখে এগিয়ে চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম-অথচ সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মেছড়া ইউনিয়নের গটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা অফিসার অরুণ কুমার দেবনাথ এর সহযোগিতায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা প্রধান শিক্ষক মোঃ হযরত আলীর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায় প্রধান শিক্ষক হযরত আলী সপ্তাহে ২-৩ দিন স্কুলে আসেন, আর অন্যান্য শিক্ষকরা মাঝে মাঝে আসেন তবে কোন সপ্তাহেই নিয়মিত আসেন না।
এলাকাবাসী জানান এই স্কুলে তেমন কোন ক্লাস হয় না,শিক্ষকরা আসেন এবং দুই তিন ঘণ্টা থেকে চলে যান। আর প্রধান শিক্ষক হযরত আলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর নেতা হওয়ায় যখন যা মন চায় তাই করেন স্কুলে। আসলেও চলে না আসলেও চলে,আর এ সকল কাজে সহকারী শিক্ষা অফিসার সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ তোলেন অত্র বিদ্যালয়ের আসে পাশের স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
সিরাজগঞ্জ অনুসন্ধানী সাংবাদিক টিমের অনুসন্ধানে উঠে আসে আরও নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র,প্রধান শিক্ষক হযরত আলী এক সঙ্গে ৩ দিনের স্বাক্ষর করেন শিক্ষক হাজিরা খাতায়,একসঙ্গে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণি এবং চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর পাঠদানও করান ঐ বিদ্যালয়ে । বিদ্যালয়টির উন্নয়ন এবং ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষার মান কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তব চিত্র বলছে ভিন্ন কথা, নিজের বিদ্যালয়েই নিজেই তৈরি করেছেন প্রাতিষ্ঠানিক আইন, বিদ্যালয়ের কোন ডকুমেন্ট প্রাতিষ্ঠানিক আইনের বলে কোন সাংবাদিককে দেখানো যাবে না। কিন্তু তথ্যানুসারে স্লিপ ফাউন্ডের অর্থ নয়-ছয় করতে তৈরি করেন ভুয়া ভাউচার স্লিপ, এতেই গায়েব হয়ে যায় স্কুলের উন্নয়নের খরচ। অনুসন্ধান আরোও জানা যায় স্কুলটির ভূমিদাতা প্রধান শিক্ষক হযরত আলীর পিতা মোঃ ময়দান আলী,ও প্রধান শিক্ষক হযরত আলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি, আর এ সকল প্রভাব খাটিয়ে সরকারি নিয়ম নীতি কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের মতো করে স্কুল পরিচালনা সহ নানা অনিয়ম করে যাচ্ছে দিনের পর দিন।
এ সকল বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ হযরত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্লিপ ফান্ডের হিসাব আমি দেখাতে পারব না কারণ প্রাতিষ্ঠানিক নিষেধ আছে। অন্যান্য বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোন
সদউত্তর দিতে পারেননি।
এ সকল বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার, অরুণ কুমার দেবনাথ এর সাথে মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এই বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিক্ষা অফিসার, ফজলুর রহমান বলেন, আপনারা নিউজ প্রকাশ করুন এবং তথ্যগুলো আমাকে দিলে আমি আইন অনুযারী ব্যবস্থা নিব।