আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
গাজা জুড়ে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা সূত্রগুলো। একইসাথে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় শহর দেইর আল-বালাহর কিছু অংশে ট্যাঙ্ক নিয়ে প্রবেশ করেছে।
সোমবার ইসরায়েল দক্ষিণ ও পূর্ব দেইর আল-বালাহতে স্থল অভিযান শুরু করে। শহরটিতে ইতোমধ্যে বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। এর আগে রোববার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ঐসব এলাকার বাসিন্দাদের স্থান ত্যাগের জন্য নির্দেশ দেয়, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ ভূমধ্যসাগরের উপকূল ও দক্ষিণে খান ইউনুসের দিকে পালিয়ে যায়।
রয়টার্স জানিয়েছে, ট্যাঙ্ক থেকে গোলাবর্ষণে বাড়ি ও মসজিদে আঘাত হানে, এতে অন্তত তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজযুম দেইর আল-বালাহ থেকে জানান, সোমবার সকালে যখন ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো এলাকায় ঢোকে, তখন গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
তিনি বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি পুরো শহরটি ইসরায়েলি হামলার কবলে।” “গত রাতে আমরা ঘুমাতে পারিনি। ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ অব্যাহত ছিল। যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক ও নৌবাহিনীর গানবোট থেকে একাধিক আবাসিক এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে। শহরের আরও তিনটি স্কয়ার ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে, বসতবাড়িগুলো মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, অনেক বাসিন্দা গাধার গাড়ি ও অন্যান্য পরিবহনের মাধ্যমে পালিয়ে গেছেন।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজাররিক বলেন, দেইর আল-বালাহ’তে জাতিসংঘের দুটি গেস্টহাউস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যদিও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে ঐসব ভবনের অবস্থান সম্পর্কে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল। তিনি বলেন, “এইসব স্থান — অন্যান্য বেসামরিক স্থাপনার মতোই — সুরক্ষিত রাখা উচিত, নির্বিশেষে সেখানে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ থাকুক বা না থাকুক।”
আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর আগেই দেয়া স্থানত্যাগের হুমকির কারণে প্রায় ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি ইতোমধ্যে এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা দেইর আল-বালাহ’তে প্রবেশকারী ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে।