সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা সদরের স্মার্ট বিদ্যালয় ডি.বি ইউনাইটেড হাইস্কুলের সুনাম ও উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ করতে না পেরে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে সরাতে তার বিরুদ্ধে হিংসাত্বকভাবে গভীর ষড়যন্ত্রের জাল পেতেছে একটি কুচক্রী মহল। ইতিপূর্বে ঐ বিদ্যালয়ের অবৈধ সুবিধা না পাওয়া কিছু বিপদগামী শিক্ষককে দিয়ে বিদ্যালয়ের অর্থঅত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে স্মার্ট বিদ্যালয় তৈরীর কারিগর মানবিক প্রধান শিক্ষক মো. মমিনুর রহমান মুকুল’র বিরুদ্ধে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছে। সেই অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। আগামী ২০ জুলাই অভিযোগটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নারায়ন চন্দ্র মন্ডল। ইতিমধ্যে তদন্তটি ভিন্ন খ্যাতে প্রবাহিত করতে ষড়যন্ত্রকারীরা বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক, বহিরাগত ও বিদ্যালয়ের গুটি কয়েক শিক্ষার্থীকে নিয়ে বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে মানববন্ধন ও বিদ্যালয়ের ভিতরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। যা বিদ্যালয়ের সুনাম ও শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করার শামিল। এবিষয়ে ডি.বি ইউনাইটেড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, আমার অপরাধ বিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষক মাঝে মাঝে একটু দেরীতে বিদ্যালয়ে আসলে তাদেরকে কোন কিছু বলা যাবেনা বা বকাবকি করা যাবেনা এবং বিদ্যালয় ফান্ডের টাকা বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ব্যয় করি সেটাও করা যাবেনা। ঐ টাকা তাদের মাঝে ভাগ করে দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তে যদি আমি দোষী প্রমাণিত হই তাহলে আমার যা শাস্তি হবে আমি তা মাথা পেতে নেবো। কিন্তু তার আগেই উক্ত তদন্ত প্রভাবিত করতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্লাস বর্জন, আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য ও স্লোগান দিচ্ছে। যেটা মোটেও সমুচীন নয়।
এবিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মাও. আবুল খায়ের বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রধান শিক্ষককে সাত দিনের ছুটি নিতে বলেছি এবং এই সাত দিন সহকারি প্রধান শিক্ষক কঙ্কন কুমার দাশকে বিদ্যালয়ের দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলেন, মুকুল স্যার এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদানের পর থেকে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়ে বহুতল ভবন, উন্নত শিক্ষার পরিবেশসহ এই বিদ্যালয়ে নানামুখী উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যা বিগত সময়ে হয়নি। বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট, শিক্ষাঙ্গণকে অস্থিতিশীল করা ও শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসসহ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও সচেতন মহল।