ফায়েজুল কবীর,মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুর সদরের টুবিয়া বাজারে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে বিচার চেয়ে তথাকথিত সাংবাদিক মাসুদ হোসেন খানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সংবাদ সম্মেলন করলো ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসি। শনিবার (২৮/৬/’২৫) বিকালে মাদারীপুর সদরের ঝাউদি ইউনিয়নের টুবিয়া বাজারে এর আয়োজন করেন ভূক্তভোগী পার্শ্ববর্তী উত্তর চিড়াইপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান তালুকদারের পুত্র মুদিদোকানদার কামরুল তালুকদার ও তার প্রবাসী আপন ভাই আতিয়ার তালুকদার সহ স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ভূক্তভোগীরা। এসময় তাদের এই আয়োজনে যোগ দেন টুবিয়া বাজার ও আশে-পাশের মানুষ। সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী আতিয়ার তালুকদার বলেন, আমি সৌদি আরবে কাজ করি, অনেক কষ্ট করে টাকা উপার্জন করে দেশে পাঠাই এবং তা দিয়ে আমাদের পরিবার চলে। বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা দিয়ে আমার আপন ছোটভাই কামরুল তালুকদারকে টুবিয়া হাটবাজারে নিয়মানুযায়ী লিজ নিয়ে একটি অস্থায়ী টিনের ঘরের মুদিদোকান করে দেই- সেই দোকান দিয়ে আমার ভাই হালাল ব্যবসা করে সামান্য কিছু কামাই-রুজি করে অভাবের সংসার চালায়। মাদারীপুরে এশিয়া টিভির সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ও সাবেক এমপি আবদুস সোবহান গোলাপের (বর্তমানে হত্যা ও দূর্ণীত মামলায় জেলে আছেন) পোষ্য এবং জেলা মৎসজীবী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি তথাকথিত সাংবাদিক মাসুদ হোসেন খান আমার ভাই কামরুল তালুকদারের মুদি দোকানে গিয়ে সাংবাদিকতার ভয়-ভীতি দেখিয়ে ও সরকারী কর্মকর্তাদের দিয়ে দোকান ভেঙ্গে ফেলার হুমকি-ধমকি দেখিয়ে বলেন, আমার সাথে উপরের অফিসারদের সাথে ভালো সম্পর্ক আছে, আমি তাদের সাথে কথা বলে তাদের টাকা ধরিয়ে দিলে তোমার দোকান ভাঙ্গা বন্ধ হয়ে যাবে, আর অসুবিধা হবে না। এভাবে মাসুদ খান আমার ভাইর কাছ থেকে এক পর্যায়ে ভয় দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে প্রথমে ৩০ হাজার, পরে ৫০ হাজার ও পরবর্তীতে আরো ৫০ হাজার সর্বোমোট ১ লক্ষ ৩০ টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও মাসুদ হোসেন খান সাংবাদিকতার নামে ও চাঁদাবাজির জন্য কালকিনি ও রাজৈর উপজেলায় বেশ কয়েকবার জনগন কর্তৃক নাজেহাল হয়েছেন, কালকিনি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মীরফারুকের কাছে অসৎ কাজ না করার জন্য মুচলেকা দিয়ে একবার ছাড়া পেয়েছেন। সম্প্রতি রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ীতে এশিয়া টিভির সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনগনের হাতে পাকড়াও হয়ে নাজেহাল হয়েছেন। এ ব্যাপারে কামরুল তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি উপস্থিত সকল সাংবাদিক ও সবার সামনে তার সত্যতা স্বীকার করে ঘটনার বিশদ বর্ণনা দেন। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে মাসুদ হোসেন খানের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে মাদারীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়েছে যার নম্বর- সি,আর ৭২৩ /’২৫ এবং উক্ত মামলাটি অধিক তদন্তের জন্য মাদারীপুর ডিবি তে ন্যাস্ত করেছেন বিজ্ঞ আদালত। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে মাদারীপুর গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ রাকিবুল হুদার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তনাধীন রয়েছে, অচিরেই তদন্ত প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করা হবে।