ভোলাহাট প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার দখলদারের দখলদারিত্বে বিশাল একটি সরকারি ক্যানেলে অপরিকল্পিত ভাবে সরকারি বেসরকারি ভাবে অবকাঠামো গড়ে উঠা আর দখলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ৮/৯ গ্রামের মরণ ফাঁদের সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতা দূর করতে দায়িত্বের পরিবর্তে জনতার দূর্ভোগের তামাশা দেখেছেন দায়িত্বশীলেরা। সম্প্রতি ভোলাহাটে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন মো. মনিরুজ্জামান।
অফিসে বসে তিনি ভোলাহাট উপজেলার সকল সমস্যা আর দূর্ভোগের চিত্র বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। সমস্যাগুলোর মধ্যে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চরম জনদুর্ভোগে আছে কোন এলাকা। সেই সব এলাকায় সমস্যা সমাধানে ছুটে যান তিনি। নানা ব্যাস্ততার মধ্যে চিহিৃত দূর্গত এলাকায় সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে যোগাযোগ করে জলাবদ্ধতা দূর করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান।
ভোলাহাট উপজেলার ভোলাহাট ও গোহালবাড়ী ইউনিয়নের বজরাটেক খলিশাকুড়ি,ঝাউবোনা হলিদাগাছী, উপজেলা পরিষদের দক্ষিণ গেট, আম ফাউন্ডেশন, ইমামনগর বাজার, বীরশ্বরপুর, কুমিরজান, সুরানপুর তীলোকী হয়ে বিলভাতিয়া পর্যন্ত একটি বিশাল প্রস্থ্য ক্যানেল রয়েছে। মাঝে মাঝে সরকারি বরাদ্দ হলেও চোখে পড়ার মত ক্যানেলের কাজ হয়নি। দখলদারিত্বের কবলে দিনদিন ক্যানেলটি ভরাট হয়ে পড়েছে। অপরিকল্পিত ভাবে সুরানপুর বাজার সংলগ্ন ক্যানেলের উপর পানির ট্যাংকি ও পাশেই প্রায় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হয়েছে ব্রীজ। আবার বসার জন্য করা হয়েছে ক্যানেলের উপর টাইলস বসিয়ে সিট।
এসবের কারণে ক্যানেল টি পানি নিষ্কাশন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ৮/৯ গ্রামের মানুষকে নিজেদের তৈরি ফাঁদে ও সরকারের অপরিকল্পিত অবকাঠামো গড়ে তোলায় জলাবদ্ধতার সাথে লড়াই করতে হয় দিনের এ এলাকার জনগোষ্ঠীকে। ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান সরজমিন পরিদর্শন করে গত ২৪ জুন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জলাবদ্ধতা দূর করতে ক্যানেল টি সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন। জনদুর্ভোগ কমাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্যানেলের কাজ চলমান রয়েছে।
দূর্ভোগ কবলীত এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মো. নাসিমুল হক জানান, ইউএনও’র উদ্যোগে ক্যানেল সংস্কার হওয়ায় আমরা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবো। ইউএনও কে ধন্যবাদ জানান তিনি। সমাজসেবক মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, ইউএনওর এ উদ্যোগ নিশ্বন্দেহে প্রসংসনীয়। তবে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি। আম ফাউন্ডেশন সদস্য সচিব মো. মনসুর আলী জানান, যোগদানের অল্প কদিনের মধ্যে জলাবদ্ধতা দূর করতে ইউএনও স্যার উদ্যোগ নেওয়ায় এলাকার মানুষ খুব খুশি। ধারাবাহিক আরো উন্নয়ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেণ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সাদিকুল ইসলাম বলেন, নতুন যোগদানের পর ইউএনও স্যার যে উদ্যোগ নিয়েছেন এর পূর্বে যদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হতো তাহলে জলাবদ্ধতায় এতো জনদুর্ভোগ হতো না। এলাকার লোকজন খুব খুশী হয়েছে। অনেকেই স্বেচ্ছা শ্রম দিচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, ভোলাহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দূর করতে আমি গুরুত্বের সাথে কাজ করবো। তিনি বলেন, পরিকল্পিত ভাবে বিশাল ক্যানেলটি দখলমুক্ত করে খননের মাধ্যমে সংস্কার করা খুব কঠিন হবে। জলাবদ্ধতা দূর করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হবে। তারপরও আমি জলাবদ্ধতা দূর করতে দায়িত্বের সাথে কাজ করে যাবো। তিনি আরো বলেন, ভোলাহাট উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। অল্প বৃষ্টিতে বজরাজেট থেকে কলেজ মোড় রাস্তা ডুবে যায় সে রাস্তার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য কাজ করা