নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঈদের আগের জায়গায় চলে এসেছে সবজির বাজার। তবে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম আরও কমেছে। মাছের বাজারেও রয়েছে স্বস্তির চিত্র। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা মাংসের পরিবর্তে মাছ-মুরগি ও ডিমের দিকেই ঝুঁকছেন বেশি।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে রাজধানীর রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে দেখা গেছে, আগের তুলনায় কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়, যা ঈদের আগেও ছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২৫ থেকে ২৩৫ টাকা কেজিতে। লাল লেয়ার ও সাদা লেয়ার বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ২৪০ এবং ২৩০ টাকা দরে। দেশি মুরগির দাম এখনও তুলনামূলক বেশি, কেজিপ্রতি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। হাঁস বিক্রি হচ্ছে জাতভেদে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা প্রতি পিস দরে।
ঈদের পর থেকে ক্রমাগত কমতির ধারা চলছে ডিমের দাম। পাইকারি বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৮ থেকে ১২০ টাকায় আর খুচরা পর্যায়ে এসব ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকায়, যেখানে কয়েক সপ্তাহ আগেও এটি ছিল ১৩৫–১৪০ টাকা। তবে পাড়া-মহল্লার খুচরা দোকানগুলোতে এখনো ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম কিছুটা বেড়ে ঈদের আগের অবস্থানে চলে এসছে সবজির বাজার। এখন বরবটি, কাকরোল, উস্তা কেজিপ্রতি ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁপে, পটল, ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। আর ঝিঙা, চিচিঙা কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে চাইছেন বিক্রেতারা। তবে ভ্রাম্যমাণ দোকানে দাম কিছুটা কম।
মাছের বাজারে যে অস্বস্তি ছিল তা অনেকটাই কেটে গেছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে এখন রুই, কাতল, পাবদা, চিংড়ি, টেংরা, শিংসহ সবধরনের মাছ পাওয়া যাচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। সরবরাহ বেশি থাকায় দামেও নেই বড় কোনো ঊর্ধ্বগতি। বড় আকারের রুই ও কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি দরে। টেংরা ৬০০-৭০০ টাকা, শিং ৪০০-৪৫০ টাকা এবং কৈ ২০০-২২০ টাকা, পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা। এছাড়া সাধারণ তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস পাওয়া যাচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। দেশি জাতের শিং ও কৈ মাছ এখনও দুষ্প্রাপ্য, যার দর যথাক্রমে ১২০০ ও ১০০০ টাকা কেজি।
বিক্রেতারা বলেন, “ঈদের সময় মাছ কেউ কিনত না, দোকান একেবারে ফাঁকা ছিল। এখন আবার বাজারে লোকজন আসছে, মাছও ভালো যাচ্ছে। রুই, কাতল, পাবদা এসব সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে।”