মাহিদুল ইসলাম আউলিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি :
স্বাদে মানে সেরা রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হাঁড়িভাঙ্গা আম বাজারে আসতে শুরু করেছে। উপজেলা প্রশাসন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। জানা গেছে, উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তেকানী গ্রামের মৃত নফেল উদ্দিন প্রথম হাঁড়িভাঙ্গা আম চাষ করেন। পরে পর্যায়ক্রমে ময়েনপুর, চেংমারী, বালুয়া মাসিমপুর, রানীপুকুর ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন এলাকায় হাঁড়িভাঙ্গা আম গাছের চাষ শুরু হয়।
মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার এই উপজেলায় ২৬ হাজার মেট্রিক টন হাঁড়িভাঙ্গা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। এ মৌসুমে দেড় কোটি টাকা বিক্রি হবে।
সরেজমিনে উপজেলার খোড়াগাছ, ময়েনপুর, বালুয়া মাসিমপুরে গিয়ে দেখা গেছে, বাগানে আম পাড়া হচ্ছে। প্রতিবার ১৫ থেকে ২০ জুনের মধ্যে জেলা-উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাঁড়িভাঙ্গা বাজারজাত করার ঘোষণা করলেও এবার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেনি। তবে, অনানুষ্ঠানিকভাবে ১৫ জুন থেকে বাজারজাত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মিঠাপুকুর উপজেলায় ১ হাজার ২৬৮ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে হাঁড়িভাঙ্গা আমের বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। এবার শুরুতে প্রতি কেজি হাঁড়িভাঙা আম ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খোড়াগাছ ইউনিয়নের পদাগঞ্জ বাজারে সবচেয়ে বড় আমের হাট বসে। এই হাটে আমের আকার ও মানভেদে প্রতিমন আম দেড় থেকে দুই হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আখিরাহাট এলাকার বাসিন্দা ও দয়ারদান আম্রকাণনের মালিক আব্দুস সালাম সরকার বলেন, আমি ১০ একর জমিতে হাঁড়িভাঙ্গা আমের বাগান করেছি। আম গাছের পাশে লটকনসহ আরও বিভিন্ন প্রজাতির আমের গাছ লাগিয়েছি। এবার হাঁড়িভাঙ্গা আমের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। তবে, খরায় একটু ক্ষতি হয়েছে। দাম ভালো। তাই পুষিয়ে নেওয়া যাবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল আবেদীন বলেন, এবার হাঁড়িভাঙ্গা আম ভালো হয়েছে। আমরা বাগানে বাগানে খোঁজ খবর নিচ্ছি।