শৈলকুপা প্রতিনিধি:
একটি সাধারণ সন্ধ্যা, কিছু মদ্যপান, আর তাতেই শেষ হয়ে গেল এক মানুষের জীবন। ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে ঘটেছে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা। মদ্যপানের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন নয়ন দাস (৩৫) নামের এক নরসুন্দর। পরদিনই তার মৃত্যু ঘটে। এই আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও এলাকাজুড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১২ মে) রাতে নয়ন দাস নিজ বাড়িতে মদ পান করেন। এরপর রাতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং অতিরিক্ত বমি করতে থাকেন। পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীরা তাকে দ্রুত ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ১১টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
নয়ন দাস চন্ডিপুর গ্রামের রবি দাসের পুত্র। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নরসুন্দরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। স্ত্রী দীপা দাস চোখের জল সংবরণ করতে না পেরে বলেন, “সেই রাতে সে বাড়ি ফিরে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচাতে পারলাম না।”এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। প্রতিবেশীরা জানান, নয়ন একজন সাদামাঠা জীবনযাপনকারী মানুষ ছিলেন। পেশায় নরসুন্দর হলেও আচরণে ছিলেন ভদ্র, হাসিখুশি ও পরিশ্রমী। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “মদ্যপানের কারণে অসুস্থ হয়ে নয়ন দাস নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।”
এই মৃত্যুর ঘটনায় আবারও সামনে এল অনিয়ন্ত্রিত মদপানের ক্ষতিকর প্রভাব। গ্রামীণ সমাজে সহজলভ্য চোলাই মদ কতটা ভয়ানক হতে পারে, নয়ন দাসের মৃত্যু তার এক বাস্তব ও নির্মম প্রমাণ।