মিঠাপুকুর থেকে চাঞ্চল্যকর গার্মেন্টস কর্মী রোকসানা হত্যাকান্ডের মূলহোতা সোহাগ গ্রেফতার
প্রকাশিত:
শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫
৩
বার পড়া হয়েছে
মাহিদুল ইসলাম আউলিয়া (রংপুর) প্রতিনিধিঃ
র্যাব-৪, সিপিসি-২, নবীনগর, সাভার এবং র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা এর একটি যৌথ আভিযানিক দল রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানাধীন ইমাদপুর তালপট্টি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর গার্মেন্টস কর্মী রোকসানা(২০)’কে গলা কেটে ও আগুন দিয়ে হত্যাকান্ডের মূলহোতা আসামি সোহাগ মিয়া (২৬)’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।আ সামি সোহাগ ও ভিকটিম রোকসানা সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী। বিবাহের পর হতে আসামি সোহাগ মিয়া ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করত। গত ২০/০৪/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ০৬:৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিমের পাশের রুমের ভাড়াটিয়া মহিমা আক্তার ভিকটিমের বড় বোন রওশনারাকে মোবাইলে ফোন করে জানায় যে, ভিকটিম রোকসানা মারা গেছে। খবর পেয়ে ভিকটিমের বড় বোন রওশনারা ভিকটিমের টঙ্গাবাড়ির ভাড়া বাড়িতে গিয়ে ভিকটিমের শরীরে বিভিন্ন দাগ, গলায় কাটা ও আগুনে পুড়া অবস্থায় দেখতে পান। আশুলিয়া থানা পুলিশকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংবাদ জানাইলে আশুলিয়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছাইয়া ভিকটিমের পরিবারে উপস্থিতিতে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন এবং ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ এ প্রেরন করেন। এ সংক্রান্তে ভিকটিমের বড় বোন রওশনারা বেগম (৩০) বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারিত হলে র্যাব-৪ এর আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে । গত ৩০-০৪-২০২৫ তারিখ র্যাব-৪, সিপিসি-২, সাভার ও র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা এর একটি যৌথ আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানাধীন ইমাদপুর তালপট্টি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর রোকসানা(২০) হত্যাকান্ডের মূলহোতা আসামি সোহাগকে গ্রেফতার করে।