1. news@dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ : দৈনিক আলোকিত নিউজ
  2. info@www.dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ :
বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন

হাওরে ফাঁদ পেতে অতিথি পাখি শিকার

  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে
সৈয়দ কামরুজ্জামান মৌলভীবাজারঃ
মৌলভীবাজারের হাওরগুলোতে প্রকাশ্যে জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে,বিষ দিয়ে অতিথি পাখি শিকার করছে শিকারিরা। শিকার বন্ধে বন বিভাগ ও প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ এ কারণে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে বলে পরিবেশ সচেতন ব্যক্তিরা আশঙ্কা করছেন৷
সরজমিনে জেলায় অবস্তিত হাওর কাউয়া দীঘিতে গিযে দেখাযায়,হাওরের গিরিম,মাজের বান,কুবজারি বন ,কইলতা,মিটিপুর সহ হাওরের বিভিন্ন এলাকায় শিকারিরা বাঁশের খুটি ব্যবহার করে পাখি শিকারের জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে প্রকাশ্যে অতিথি পাখি শিকার করছে শিকারিরা।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, শিকারিরা দিনের বেলা জাল দিযে ফাঁদ পেতে রাখেন ও রাতে খাবার সন্ধ্যানে আসা অতিথি পাখিরা এই ফাঁদে আটকা পরেন। পরে সকাল বেলা শিকারিরা আটকা পরা পাখিগুলোকে উদ্ধার করে স্থানীয় পাইকারের কাছে বিক্রয় করে।যার ফলে দিনে দিনে কমছে হাওরগুলোতে অতিথি পাখির সংখ্যা। শুধু জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে নয় বিভিন্ন জায়গায় বিষ দিয়ে ও পাখি শিকার করছে শিকারিরা। আরো জানাযায়, হাওর কাউয়াদিঘি ছাড়াও জেলায় আবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকি,হাইল-হাওর , বাইক্কা বিলে ছুটে আসা অতিথি পাখিগুলো কোতায় জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে, কোতায় কোতায় গোপনে বিষ দিয়ে শিকারিরা করছেন শিকারিরা।
সাইবেরিয়া, চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকে অতিথি পাখি শীতের শুরুতে ছুটে আসেন নিরাপদ আশ্রয়ে ও খাবার সন্ধানে হাওর গুলোতে।এসব অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠে হাওর এলাকার আসপাসের গ্রাম ও বিলগুলো। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পাখি খাবারের সন্ধানে হাওরের বিলগুলোতে নির্বিঘেœ খাবার সংগ্রহে নামতে পারছে না। শিকারিরা জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করছে। দেশের যে কয়টি স্থানে অতিথি পাখির সমাগম ঘটে তার মধ্যে হাকালুকি, হাওর কাউয়া দীঘী,বাইক্কা বিল অন্যতম। অতিথি পাখির সর্ববৃহৎ এই সমস্ত সমাগমস্থলে প্রতি বছর পুরো শীত মৌসুম হাওরে বিচরণ করে পাখিরা আবার গরমের শুরুতেই তারা ফিরে যায় স্ব-স্ব আবাসস্থলে।
হ্ওার পারের একাধিক জনের সাথে কতা হলে তারা জানান,শিকারিরা দিনের বেলা জাল দিয়ে ফাঁদ পাতান। রাতের বেলা পাখিরা খাবারের সন্ধানে দল বেঁধে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে উড়ে যাওয়ার সময় একেকটি জালে ১০ থেকে ১৫টি পাখি আটকা পড়ে৷ এ ছাড়া বিলের পানিতে কারেন্ট জাল পেতেও পাখি শিকার করা হয়৷ সকালে পাখি বিক্রি করেন।তাদেরকে পাখি শিকার না করার কতা বললে তারা উল্টো আমাদেরকে ধমক দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, এক হালি পাখি ১ হাজার থেকে ১হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে৷ পাখিদের মধ্যে সরালি,লেনজা, সাদা বক ও কিছু অচেনা পাখি রয়েছে৷
স্থানীয় পরিবেশ বিদরা বলছেন, পাখি শিকার বন্ধে বন প্রশাসনিক পদক্ষেপ খুবই জরুরী।পাশাপাশী সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে।অবাদে পাখি শিকারের  কারণে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ছে৷ পাখি শিকার বন্ধ করতে বন বিভাগকে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার দরকার।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন বলেন, বিষয়টি অবগত হলাম খুঁজ নিযে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সৈয়দ কামরুজ্জামান মৌলভীবাজার।
আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ,কলাম,তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট