
নাহিদ ইসলাম,রাজশাহী ব্যুরো:
তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে বগুড়ায় সরকারি শিশু পরিবারের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রমীলা প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা ২০২৫।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার দিকে জেলার সরকারি শিশু পরিবার মাঠে প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা শেষে এক আনন্দঘন পরিবেশে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইনাল খেলা শেষে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বগুড়ার জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহা: জিললুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো: আকরাম হোসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান। এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ক্রীড়া সংগঠক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণকালে উপপরিচালক জিললুর রহমান বলেন, “তরুণ সমাজকে মাদক ও অপকর্ম থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। খেলাধুলা শিশুদের শৃঙ্খলা, ধৈর্য, সহনশীলতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলি তৈরি করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর শুধু অভিযান চালাতেই সীমাবদ্ধ নয়, আমরা সচেতনতা সৃষ্টিতেও গুরুত্ব দিচ্ছি। এমন প্রতিযোগিতা শিশুদের মধ্যে সুস্থ, সৃজনশীল মনোভাব ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমরা আশা করি, সরকারি শিশু পরিবারের প্রতিটি অংশগ্রহণকারী এই ধরনের উদ্যোগ থেকে অনুপ্রাণিত হবে এবং ভবিষ্যতে দেশের জন্য মর্যাদাপূর্ণ নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবে।”
জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো: আকরাম হোসাইন বলেন, “খেলাধুলা কেবল শারীরিক বিকাশের মাধ্যম নয়, এটি মানসিক ও সামাজিক বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শৃঙ্খলা, দলগত কাজের মানসিকতা, সহনশীলতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলি সবই খেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গড়ে ওঠে। সরকারি শিশু পরিবারের শিশুদের এই ধরনের খেলায় অংশগ্রহণ তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে, দলবদ্ধভাবে কাজ করার শিক্ষা দেবে এবং মূলধারার সমাজে তারা আরও এগিয়ে যেতে পারবে। আমরা ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবসময় শিশু ও কিশোরদের জন্য এমন ইতিবাচক উদ্যোগকে উৎসাহিত করব।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বগুড়া সমাজসেবা অধিদপ্তরের
সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান বলেন,“শিশুদের মানসিক, শারীরিক ও সামাজিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। আমরা বিশ্বাস করি, কেবল বই-পড়াশোনাই নয়, এই ধরনের প্রমীলা প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা শিশুদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সমাজসেবা অধিদপ্তর সব সময় শিশুদের নিরাপদ ও সৃজনশীল পরিবেশ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। এই ধরনের উদ্যোগ তাদের আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধি করে, যা ভবিষ্যতে তাদের সার্বিক উন্নয়নের ভিত্তি গড়ে তোলে। আমরা আশা করি, অংশগ্রহণকারীরা এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও সুস্থ ও দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।”
খেলা শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সরকারি শিশু পরিবারের মোট ৭৫ জন অংশগ্রহণকারীর মাঝে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে মাদকবিরোধী স্লোগান সম্বলিত খাতা, জ্যামিতি বক্স, কলম ও স্কেল বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে আয়োজক ও অতিথিরা এমন সামাজিক ও ক্রীড়াভিত্তিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।