
শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুরের সখিপুর থানায় পূর্ব শত্রুতার বিরোধে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লাবনী (২৯) শান্তি বেগম (৬৫) দুই নারী গুরুতর আহত হন।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর ) বিকালে সখিপুরের ডিএমখালী ইউনিয়নের কাদির সরকার কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ডিএমখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কাদির সরকার কান্দি গ্রামের আহসান উল্লাহ মাদবরের মেয়ে লাবনী এবং তার স্ত্রী শান্তি বেগম বর্তমানে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে একই গ্রামের দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার বিকালে সাধারণ কথা-কাটাকাটি হয়, এক পর্যায়ে হঠাৎ করে ওবায়দুল বালা, আজু মাদবর, হাসান মোল্লা, ফিরোজ মাদবর সহ ১০/১২ জন ব্যক্তি আহসান উল্লাহ মাদবরের ঘরে ঢুকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপ ছাড়তে থাকে, এতে শরীরে কুপ লেগে লাবনী নামের এক নারীর ডান হাত কেটে যায় এবং তার মা শান্তি বেগমের বাম হাত ও বাম পা ভেঙে যায় দুজনই রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত হন।
চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় লাবনী বলেন, আমি আর আমার মা দুপুরে ভাত খাওয়ার পরে একটু রেষ্ট নিতে ছিলাম হটাৎ করে ওবায়দুল বালা, আজু মাদবর, হাসান মোল্লা, ফিরোজ মাদবর সহ ১০ থেকে ১২ জন লোক এসে আমাকে আর আমার মাকে ছুরি ও চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারদর করে, এবং আমার গলার একটি স্বর্ণের চেইন, আমার মোবাইল ফোন ও ঘরে থাকা কিছু নগট টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
শান্তি বেগম বলেন, আমাদের উপরে কয়দিন পর-পর তারা বিভিন্ন ভাবে হামলা করে, অনেকবার থানা পুলিশ ও স্থানীয় মুরুব্বিদের জানালেও কোন বিচার পাইনি, এখন আবার হত্যা করার উদ্দেশ্যে নতুন করে আমাদের উপরে হামলা করেছে আমরা এটার সঠিক বিচারচাই।
অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাজিম উদ্দীন মজুমদার জানান, ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।