র্যাবের যৌথ অভিযানে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের প্রধান পলাতক আসামি গ্রেফতার
প্রকাশিত:
শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
৬
বার পড়া হয়েছে
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
এলিট ফোর্স র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন চাঞ্চল্যকর হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, রাহাজানিসহ মারাত্মক সব সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতার মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে র্যাব অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বাদীর এজাহার থেকে জানা যায় যে, ভিকটিম একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। গত ইং ১৩/১১/২০২৫ তারিখ সকাল ০৮.০০ ঘটিকায় ভিকটিম বাড়ীর উঠানে গেলে ধৃত আসামি সুকৌশলে ভিকটিমকে বাড়ীর পাশে কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের রুমের ভিতর নিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৩, তাং- ১৭/১১/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা- ৯ (১), নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩)।
ঘটনার পর থেকে গ্রেফতার এড়াতে আসামি চতুরতার সাথে আত্মগোপনে ছিলো। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় আসামি গ্রেফতারের লক্ষ্যে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং আসামি গ্রেফতারে সচেষ্ট হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৩, সদর কোম্পানী, রংপুর এবং র্যাব-১১, সদর কোম্পানী, নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের একটি যৌথ আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার সকাল ০৭.০০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন হিরাজিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এবং আসামী শাওন মিয়া (২২), পিতা-মোঃ ইসমাইল হোসেন মেকার, সাং-পুরাতন অনন্তপুর ডোবারপাড়, থানা-উলিপুর, জেলা- কুড়িগ্রাম’কে গ্রেফতার করে।
পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরাধ প্রতিরোধে এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাবের প্রতিটি সদস্য দৃঢ়প্রত্যয়ের সাথে কাজ করছে এবং চলমান এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।