
ব্যরো চীফ, সিলেটঃ
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ অভিযান ‘ডেভিল হান্ট টু’-এর জালে আটকা পড়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পদধারী নেতা ও এক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। গত ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর টানা দুই দিন সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এই অভিযানে মোট ৯ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইন, পেনাল কোড এবং জিআর মামলা রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং তালিকাভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন রাজনৈতিক দলের একাধিক প্রভাবশালী নেতা। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অন্যতম হলেন সিলেট মহানগর তাঁতী লীগের সহ-সভাপতি এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তুহিন আহমদ। তিনি এয়ারপোর্ট থানার সুবিদবাজার এলাকার বাসিন্দা। এছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছেন কোতোয়ালী থানার লালদিঘীরপাড় এলাকার বাসিন্দা ও যুবলীগ কর্মী আহমেদ হোসেন মুন্না।
অভিযানে আটক অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন খাদিমনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. তারা মিয়া এবং এয়ারপোর্ট থানার দেবাইরবহর এলাকার আওয়ামী লীগ কর্মী মোহাম্মদ আলী বলি। পুলিশের এই বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন একজন গণমাধ্যমকর্মীও। তিনি হলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সাবেক সহ-সভাপতি ও ঢাকার একটি জাতীয় দৈনিকের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল হোসেন। বর্তমানে তিনি সিলেট হাউজিং এস্টেট এলাকায় বসবাস করছিলেন।
এছাড়াও গ্রেপ্তারের তালিকায় রয়েছেন জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. ইয়াহিয়া, সদর উপজেলা তাঁতী লীগের সভাপতি ও জালালাবাদ থানার মোগলগাঁও এলাকার মো. দিলোয়ার হোসেন, জকিগঞ্জের বাসিন্দা ও বর্তমানে দর্জিবন্দ এলাকার বসবাসকারী বিজিতলাল উজ্জল ওরফে নিধিররঞ্জন এবং মোগলাবাজার থানার শেখপাড়া এলাকার নূরুল ইসলাম।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা রুজু ছিল। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আটককৃত সকল আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের এমন বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে এসএমপি।