
আব্দুল হালিম,বিশেষ প্রতিবেদকঃ
নারীশিক্ষা, নারী অধিকার, মানবাধিকার ও নারী জাগরণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ চার বিশিষ্ট নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই পদক তুলে দেন তিনি। পদকপ্রাপ্তরা হলেন,নারীশিক্ষা শ্রেণিতে (গবেষণা) রুভানা রাকিব, নারী অধিকার শ্রেণিতে (শ্রম অধিকার) কল্পনা আক্তার, মানবাধিকার শ্রেণিতে নাবিলা ইদ্রিস ও নারী জাগরণ শ্রেণিতে (ক্রীড়া) ঋতুপর্ণা চাকমা। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করেন।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দে যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে নারী আন্দোলনের পথিকৃত বেগম রোকেয়ার স্মৃতি কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয় এর সঠিক তদারকি ও দেখভালের অভাবে বর্তমানে করুনদশায় পরিণত হয়েছে। দুর দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা স্মৃতি কেন্দ্র দেখতে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যান। কেননা তেমন কোন কার্যক্রম নেই সেখানে। প্রতি বছর রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যু দিবস উপলক্ষে সরকারীভাবে শুধুমাত্র তিন দিনের জন্য ডিসেম্বর মাসের ৯-১১ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। আজ ৯ডিসেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার সাড়ে ১০টায় দিবসের প্রথম দিন রােকেয়ার স্মৃতিস্তম্ভ পুষ্পমাল্য অর্পণ, পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয় তিনদিনের কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার,মোঃশহিদুল ইসলাম, এনডিসি। বিশেষ অতিথি ছিলেন,রংপুর ডিআইজি মোঃআমিনুল ইসলাম,
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,সহযোগী অধ্যাপক,,ড. মোঃ মনিরুজ্জামান।
রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান এঁর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার,মোঃ পারভেজ, ৩নং পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক হোসেন ,পায়রাবন্দ সরকারি ডিগ্রী কলেজ সহকারি অধ্যক্ষ আবু আল বাকের,পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া স্মৃতি গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ মাহেদুল আলম সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের সদস্যরা রোকেয়া স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
জানা যায়, রোকেয়া অনুরাগী মানুষের দাবিতে ১৯৯৭ সালে রোকেয়ার জন্মভিটায় স্মৃতি কেন্দ্রটির ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করা হয়। স্মৃতি কেন্দ্রে একটি অফিস ভবন, সর্বাধুনিক গেস্ট হাউজ, মিলনায়তন, ডরমেটরি, গবেষণা কক্ষ, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গ্রন্থাগার, আবাসিক সুবিধাসহ বিশাল অবকাঠামো রয়েছে। স্মৃতি কেন্দ্রের ভেতর মনোরম পুকুরপাড়ে তৈরি করা হয়েছে বেগম রোকেয়ার একটি ভাস্কর্য। তবে গ্রন্থাগার থাকলেও সেখানে বই ও সাময়িকী নেই। মিলনায়তনের অবস্থাও করুন ।
লোকোবল সংকটের কারণে মহিলাদের সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যন্ত্রপাতি থাকলেও কার্যক্রম না থাকায় ধুলো-ময়লা জমে তা নষ্ট হওয়ার পথে। সংগ্রহ শালার স্থাপনা থাকলেও মুলত সংগ্রহে কিছুই নেই সেখানে, বিদ্যুত বাতিগুল নষ্ট থাকার কারণে স্মৃতি কেন্দ্রটি থাকে অন্ধকারে। এ অবস্থায় অনেক দুর-দুরান্ত থেকে বেগম রোকেয়ার জন্মভিটা দেখতে এসে দর্শনার্থীরা হতাশ হয়ে ফিরে যান। একইভাবে রোকেয়ার বাস্থভিটায় বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করা থাকলেও কখনো কখনো আলো জলেনা। অবকাঠামো নষ্টহয়ে যাওয়ার ফলে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে রেষ্টহাউজটি।
উপজেলার পায়রাবন্দে নারী মুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যু দিবসে মানুষের পদচারনায় প্রাণ ফিরে পায় তাঁর জন্মভিটার ‘বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র।’
বেগম রোকেয়া স্মৃতি সংসদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম দুলাল বলেন, যে লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছে তার পুরোপুরি বাস্তবায়ন চাই। আর রোকেয়া অনুরাগী মানুষের দাবি বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রসহ যাবতীয় কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করার।##০৯-১২-২০২৫