
ফায়েজুল শরীফ, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), মাদারীপুর জেলা শাখার আয়োজনে “সচেতন, সংগঠিত ও সোচ্চার জনগোষ্ঠীই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ” হতে পারে- এ বক্তব্যকে সামনে রেখে সুষ্ঠ নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণে নাগরিক ভাবনা শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ৫ ই ডিসেম্বর (শুক্রবার) বিকালে সরকারী সমন্বিত অফিস ভবনের ডিজিটাল কনফারেন্স রুমে মাদারীপুর জেলা ‘সুজন’ এর সভাপতি এনায়েত নান্নুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চৌধুরীর সার্বিক পরিকল্পনা এবং ‘ইয়েস গ্রুপ মাদারীপুর’ এর আহবায়ক সাংবাদিক আঞ্জুমান আরা জুলিয়ার উপস্থাপনায় এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সুশাসনের জন্য নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দিলিপ কুমার সরকার , বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মহাদেব বর্মন, সুজনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি প্রফেসর (অবঃ) মোঃ মকবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ, এম রেজাউল হক রেজা, মাদারীপুর লিগ্যাল এইড এসোসিয়েশনের সহকারী প্রধান কো-অর্ডিনেটর মাসুমুল হক, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী শরীফ মোঃ ফায়েজুল কবীর সহ অন্যান্য প্রতিনিধিবৃন্দ। আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক (জনকন্ঠ) সুবল বিশ্বাস, আদর্শ কল্যাণ ফোরাম মাদারীপুর জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এসকান্দার মাতুব্বর, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আ,য,ম কামাল, এনজিও কর্মকর্তা ও মানবাধিকার সংস্থা ‘আসক’ ফাউন্ডেশন মাদারীপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি বায়োজিদ মিয়া, সাংবাদিক আবুল খায়ের খান (বিজয় টিভি), বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ও প্রশিক্ষক আমির বাবু, জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক গ্রুপের সেক্রেটারী মফিজুর রহমান হাওলাদার সহ বিভিন্ন সামাজিক, মানবিক, বেসরকারী সংস্থা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি দিলীপ কুমার সরকার তার বক্তব্যের প্রথমেই তিনি উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে সকল শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। তিনি বলেন, গনতন্ত্র উত্তরণের জন্য শুধুমাত্র একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনই যথেষ্ট নয়, এজন্য সুশাসন, বৈষম্যহীণ সমাজ প্রতিষ্ঠা, সাংবাধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিয়ে স্বচ্ছতার জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনা, দূর্ণীতির বিরুদ্ধে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধ-প্রতিবাদে সক্রিয় ভূমিকা রাখা, পার্লামেন্টে জনবান্ধব আইন বৃদ্ধি করে তা বাস্তবায়ন করা, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে জবাবদিহিমূলক পরিবর্তন আনয়ন, দলের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা বৃদ্ধি করা, ধর্মীয় ও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করা সহ বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলন বৃদ্ধি করা- যা’তে অনিয়মকারীরা তা করতে ভয়।