র্যাব-১৩, দিনাজপুর জেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা জরিমানা ও অবৈধ কারখানা সিলগালা।
প্রকাশিত:
বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
৩
বার পড়া হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টারঃ
র্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালনসহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ মালামাল উৎপাদনসহ মারাত্মক সব সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।এই ধারা বাহিকতায় সাম্প্রতিক সময়ে দিনাজপুর জেলায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অসাধু ব্যবসায়ীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক প্লাস্টিকের পলিথিন অভিনব কৌশল অবলম্বন করে মজুদ করছে মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। উক্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিতকরণসহ অবৈধ পলিথিন ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা ও প্রসার রোধে র্যাব-১৩ গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ইং মঙ্গলবার বিকালে র্যাব-১৩, সিপিসি-১, দিনাজপুরের চৌকস আভিযানিক দল এবং জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিগণের নেতৃত্বে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানাধীন বিরামপুর বাজার এলাকায় যৌথ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫ এর ৬ক, ১৫(১), ৪(ক), ৪(খ) ধারামূলে নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ পলিথিন উৎপাদন, মজুদ এবং প্রদর্শনে জড়িত ০১ (এক) ব্যক্তিকে ২৫,০০০/- পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা, ৩১৯ কেজি পলিথিন ও পলিথিন তৈরির কাঁচামাল ৯২৩ কেজি পিপি গ্র্যানিউল জব্দ এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানকে সিলাগালা করা হয়। একই জেলাধীন হাকিমপুর থানার ডাঙ্গাপাড়া বাজারে অবস্থিত মেসার্স ভাই ভাই প্লাস্টিক কারখানায় অপর ০১ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহণ না করে অবৈধ প্লাস্টিক কারখানা পরিচালনা করায় উক্ত প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়।
প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে, দীর্ঘদিন ধরে অসাধু ব্যবসায়ীগণ অত্যন্ত সুকৌশলে নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ পলিথিন উৎপাদন, মজুদ এবং অবৈধ ও ছাড়পত্রবিহীন প্লাস্টিক কারখানা পরিচালনা করাসহ এই জাতীয় অবৈধ ব্যবসা করে আসছিলো।এদিকে প্রতিটি অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাব-১৩ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানাগেছে।