
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইথিওপিয়ার হাইলি গুবি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সৃষ্টি হওয়া ঘন ছাইয়ের মেঘ এখন ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) ১২ হাজার বছর পর সক্রিয় হয়ে ওঠা এই আগ্নেয়গিরি থেকে ব্যাপক বিস্ফোরণের পর ছাইয়ের বিশাল মেঘ লাল সাগর পেরিয়ে ইয়েমেন, ওমান, এবং আরব সাগর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এই ছাইয়ের মেঘ ভারতের উত্তরাঞ্চল, বিশেষ করে দিল্লি, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশের আকাশে প্রবেশ করেছে।
ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ছাইয়ের কারণে কিছু ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং বিমান সংস্থাগুলোকে বিশেষ সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। আকাসা এয়ার, ইন্ডিগো, এবং কেএলএম সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিমানসংস্থা ইথিওপিয়ার আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের প্রভাবে ফ্লাইট বাতিল করেছে। আকাসা এয়ার ২৪ ও ২৫ নভেম্বর জেদ্দা, কুয়েত এবং আবুধাবিগামী সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। কেএলএম রয়েল ডাচ এয়ারলাইন্স তাদের দিল্লি-আমস্টারডাম ফ্লাইট বাতিল করেছে।
ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) বিমান সংস্থাগুলোকে জানায়, ছাই প্রভাবিত অঞ্চলগুলো এড়িয়ে চলতে হবে এবং ফ্লাইট রুট ও জ্বালানির হিসাবেও পরিবর্তন আনতে হবে। এছাড়া, যদি কোনো বিমানে ছাইয়ের উপস্থিতি পাওয়া যায়, ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা কমে যায় বা কেবিনে ধোঁয়া বা গন্ধ পাওয়া যায়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে রিপোর্ট করতে হবে।
ছাইয়ের মেঘের প্রভাব দিল্লি ও আশপাশের বায়ুগুণমানের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে, যদিও তা আকাশে অনেক উচ্চতায় অবস্থান করছে, ফলে বায়ূ দূষণ খুব বেশি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে, এই পরিস্থিতি বিমান চলাচলে এক ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে, এবং বিমান সংস্থাগুলো তাদের রুট পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করছে।
এদিকে, ইথিওপিয়ার আফার প্রদেশে অবস্থিত হাইলি গুবি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর আফদেরা গ্রামটি সম্পূর্ণ ধুলায় ঢেকে যায়। এছাড়া এরটা আলে এবং আফদেরা শহরের আশপাশে মাঝারি মাত্রার কম্পনও অনুভূত হয়।