
স্টাফ রিপোর্টারঃ
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ইসলামপুর এলাকার পিটিআই স্কুলের ৩য় শ্রেণীল এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে উত্তমাধম দিয়ে পুলিশে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ অভিবাবকরা।
আজ রবিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে ধর্ষনের অভিযোগে বিক্ষুদ্ধ অভিবাবরা ওই স্কুলে ঢুকে অভিযুক্ত শিক্ষককে উত্তমাধ্যম দেয়। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম রোমান মিয়া। পরে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় পুলিশ। ওই বিদ্যালয়ের বিক্ষুদ্ধ কতিপয় অভিবাবক জানান, গত বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির পরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সকল শিক্ষার্থীরা চলে গেলে ধর্ষিতা মেয়েটি তার অভিবাবকের জন্য স্কুলে অপেক্ষা করতে ছিলো। এ সময় ধর্ষিতা মেয়েটি পানি খেতে চাইলে অভিযুক্ত রোমান স্যার ওয়াশরুমে নিয়ে বাচ্চাটাকে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষিতা মেয়েটিকে স্কুল হতে উদ্ধার করে চিকিৎসা প্রদান করে অভিবাবকরা।
বিক্ষুদ্ধ অভিবাবকরা আরো বলেন, আজ থেকে ৩ দিন আগে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কিন্তু স্কুল সুপার কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তারা অভিযোগ করেন অভিযুক্ত রোমান এর আগেও পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীদের গায়ে হাত দিয়েছে। এ ব্যাপারে ওই স্কুলের সুপার এর পক্ষ থেকে হ্যান্ড মাইকে ঘোসনা দিয়ে অভিবাবকদের শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয় এবং ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার কোন অভিযোগ দায়ের না করায় স্কুল কর্তৃপক্ষ পূর্বে ব্যাবস্থা নিতে পারেনি বলে জানানো হয়।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি এম সাইফুল আলম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক পুলিশ হেফাজতে রয়েছে । এ ঘটায় নির্যাতিত শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলেন. এ ঘটনায় মামলা হয়েছে । আসামীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোঃ কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় আসামীকে আদালতে আনা হলে আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন