
নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসী, সমাজকর্মী ও উন্নয়ন কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, এসব অবৈধ ইটভাটায় কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি করার ফলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে এবং স্থানীয় কৃষি জমি, বনায়ন ও জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনুমোদনবিহীন ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এসব ভাটায় নির্দ্বিধায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে, যা পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত) অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। এর ফলে এলাকার বায়ু দূষণ, ফসলের উৎপাদন হ্রাস, এমনকি শিশু ও বৃদ্ধদের শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও বরেন্দ্র অঞ্চলে খরা,অতিখরা, অনাবৃষ্টি,অসময়ে বৃষ্টি আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তন অনেকটাই কৃষি ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পরিস্থিতি হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। এর মধ্যে ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধুঁয়া এ অঞ্চলের কৃষি ও ফসলি জমির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে সমাজকর্মী মিজানুর রহমান বলেন, “ইটভাটার কারণে আশপাশের গাছপালা শুকিয়ে যাচ্ছে, কৃষিজমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে।”
একই সঙ্গে উন্নয়ন কর্মী রওশন আরা বলেন, “অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা শুধু আইনগত দায়িত্ব নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি নৈতিক দায়িত্ব।”
এলাকাবাসীর দাবি, প্রশাসন যেন অবিলম্বে এসব অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাদের মতে, “জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব রোধ করতে হলে ক্ষতিকর ও অবৈধ ইটভাটা বন্ধ থাকাই ভালো।”
পরিবেশবাদীরা বলছেন, সরকার ঘোষিত পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি “হফম্যান ও টানেল কিলন” ব্যবহার না করে যারা ঐতিহ্যবাহী কাঠ-পোড়ানো পদ্ধতিতে ইট তৈরি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Like this:
Like Loading...
Related