
বিকাশ কুমার দাস,স্টাফ রিপোর্টারঃ
সার না পাওয়া দিশেহারা কৃষকদেরকে নিয়ে প্রশাসনের কাছে জবাব চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক লোক তাদের ডিলারদের কাছে সার নিতে আসে কিন্তু তারা কোন ডিলারের কাছেই সার পাইনি। তাই তারা সকল কৃষক মিলে ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মোঃ আখেরুজ্জামান মাসুমের কাছে গেলে সে কোন প্রতিকার না পেয়ে খেটে খাওয়া অসহায় সার সংকটকৃত কৃষকদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি নিয়ে পৌর শহরের প্রধান, প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে ভাঙ্গুড়া বাস স্ট্যান্ড শহীদ মিনার চত্বর কৃষকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। পরবর্তীতে মিছিলটি উপজেলা চত্বরে সমবেত হয়ে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। কৃষকদের অভিযোগ, চলতি রবি মৌসুমে ডিএপি, ইউরিয়া ও টিএসপি সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ডিলাররা পর্যাপ্ত সার সরবরাহ করতে পারছেন না, ফলে জমিতে রোপণকাজ ব্যাহত হচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে বেশি দামে খোলা বাজার থেকে সার কিনছেন, এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমরা সার না পেলে জমিতে বীজ ফেলব কীভাবে? সরকার নির্ধারিত দামে সার পাচ্ছি না আমরা। ডিলাররা বলছেন, গুদামে সরবরাহ কম।’ আরেক কৃষক পলান মোল্লা অভিযোগ করেন, ‘ডিলাররা রাতের আঁধারে বেশি দামে বাইরে সার বিক্রি করছে। এ কারণেই সংকট তৈরি হয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই আমরা সার না পেলে আবাদে মার খেতে হবে।’ বক্তারা বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি অফিসের পর্যাপ্ত নজরদারি না থাকায় ডিলাররা সার মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। তারা অবিলম্বে সার সরবরাহ স্বাভাবিক করা ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আখেরুজ্জামান মাসুম বলেন, ‘কৃষি কর্মকর্তাদের উদাসীনতা ও দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে ডিলাররা সার মজুত ও অবৈধ বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে। এতে প্রান্তিক কৃষকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা.শারমিন জাহানের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তাকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন ধরেননি এবং পরবর্তীতে তিনি ফোনটি বন্ধ রাখেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস পাল বলেন, কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।