
রাউজান চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়া এলাকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম পরিচালিত বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও দেশীয় অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে এলিট ফোর্স র্যাব।
র্যাব-৭ সূত্রে জানা গেছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সংস্থাটি জানতে পারে—রাউজান থানাধীন নোয়াপাড়া এলাকার একটি বসতবাড়িতে কতিপয় ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ ও তৈরি করে আসছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর ২০২৫) সকালে র্যাব-৭ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল জনৈক কামাল উদ্দিনের বসতবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে বাড়ির মালিক মোঃ কামাল (৫০), পিতা-মৃত খায়েজ আহমেদ এবং তার সহযোগী মোঃ সোহেল আহমেদ (৪৪), পিতা-মৃত সফিক আহমেদ, উভয়ে নোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা—তাদেরকে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে তাদের বসতবাড়ি তল্লাশি করে র্যাব সদস্যরা ৩টি একনলা বন্দুক, ৬টি ওয়ান শুটার গান, ৫টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি তলোয়ার, ৫টি রামদা, এবং বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, আটককৃত কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে রাউজান থানায় অন্তত তিনটি মামলা রয়েছে।
র্যাব-৭ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে রাউজান এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ অস্ত্র চক্র গোপনে অস্ত্র কারখানা স্থাপন করে স্থানীয় জলদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী এবং ডাকাত দলের কাছে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র বিক্রি করে আসছিল। চক্রটি অত্যন্ত কৌশলীভাবে কাজ করতো এবং এলাকায় অপরিচিত কাউকে দেখলেই সতর্ক হয়ে যেত। তাই অভিযানের পূর্বে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনায় র্যাব সদস্যদের কঠিন পরিশ্রম ও ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়েছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রামের কর্মকর্তা জানান, রাউজানসহ আশপাশের এলাকায় অস্ত্র চক্রের সক্রিয়তা দমনে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটক দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে অস্ত্র কারখানার পেছনে থাকা মূল হোতাদের খুঁজে বের করা হবে।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রসহ জব্দ সরঞ্জামাদি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।