
আইয়ুব আলী-চলনবিল প্রতিনিধিঃ
কথায় আছে “সময় ও নদীর স্রোত কখনো কারো জন্য অপেক্ষা করে না” ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সারাদেশে প্রায় ৪/৫ মাস পূর্বে ৩০০ আসনে একক প্রার্থীকে নমিনেশন দিয়েছে। জামায়াতের মহিলা কর্মীরা ঘরে ঘরে গিয়ে মেয়েপুরুষ ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছে বা ওয়াদা করে নিচ্ছে। মহিলা ভোটাররা ওয়াদা করলে ওয়াদাখেলাপ না করার সম্ভাবনা বেশী। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের কর্মীরা ৫/৬ জন করে দলবেধে হলে হলে গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তাদের মা-বাবাকে ফোন দিয়ে জামায়াতের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করছে। জামায়াতের প্রার্থীরা কেন্দ্রকমিটিগুলো করে ফেলেছে। সারা দেশে প্রায় ৪০% ঘরে তাদের কর্মীরা ইতিমধ্যেই পৌছে গেছে।জামায়াতের কর্মীরা গৃহবধুদের হাতে জায়নামাজ, তসবিহ সহ বিভিন্ন উপহার তুলে দিয়ে একটি বারের জন্যে ভোট দেয়ার ওয়াদা করাচ্ছে। জামায়াত ভোট কেন্দ্রের জন্যে পোলিং এজেন্টদের নাম চেয়ে বসেছে। জামায়াত অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে ব্যাস্ত রাখতে পি আর পদ্ধতির জন্যে আন্দোলন করছে। যাতে বিএনপি একক প্রার্থী দেয়ার আগেই তাদের ৫০%কাজ হয়ে যায়। অথচ বিএনপির প্রার্থী নমিনেশিন দিতে গত ১৫/১৬ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব,জেল জুলুম হুলিয়া ইত্যাদি গুরুত্ব দেওয়া হয় শুনা যাচ্ছে এবং সর্বোপরি জনভিত্তি থাকলে নমিনেশন দেওয়ার কথা বার বার বলা হচ্ছে।এছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতে আর্ন্তজাতিক,এনিজিও,মিডিয়া,সরকারী ও দলীয় জরিপ আছে। তাহলে শুভাকাঙ্খীদের প্রশ্ন প্রার্থী নমিনেশিন দিতে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে কেন ? চ্যানেল ২৪ সিলেট বিভাগের ত্যাগী ও বসন্তের কোকিল প্রার্থীদের নিয়ে একটি সুন্দর প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাতে প্রার্থী নমিনেশন দিতে বিএনপির সুবিধা হয়। এত কিছুর পরও বিএনপি একক প্রার্থী নমিনেশিন দিতে পারছে না কেন ? নির্বাচনের ৩ মাস পূর্বে যা যা করা দরকার জামায়াত তা পুঙ্খানুপুঙ্খানু ভাবে করলেও বিএনপি কি তা করতে পারছে ? প্রত্যেক আসনে ৩/৪ জন প্রার্থী থাকায় সেন্টার কমিটি করতে ঝামেলা হচ্ছে।প্রবাদে আছে“সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়”। গত ২৭ অক্টোবর গুলশান কার্যালয়ে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কথা বলার জন্যে যাদের ডেকেছেন তাদের অনেকেরই বিএনপি’র নেতাকর্মী এবং জনগনের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। তাদের কানেকশন আছে বড় বড় নেতাদের সাথে। এই কানেকশন অর্থের,অর্থই অনর্থের মূল। অর্থের বিনিময়ে মনোনয়ন বিক্রি করা যাবে কিন্তু জনগনের ভোট বিক্রি করা যাবে না। বরং জনগন তাদের কাঙ্খিত প্রার্থী না পেলে ক্ষুব্ধ হয়ে অন্য প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য হবে। কেন্দ্রীয় নেতারা ভাবছেন অনেক আসনের মধ্যে একটি আসন চলে গেলে কি হবে কিন্তু ঠক বাজতে গাও উজাড় হয়ে যেতে পারে অর্থ্যাৎ লোম বাজতে কম্বল শেষ হয়ে যেতে পারে।