1. news@dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ : দৈনিক আলোকিত নিউজ
  2. info@www.dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ :
বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
যমুনা অভিমুখে ইসলামী দলগুলোর পদযাত্রায় পুলিশের বাধা নিউইয়র্কে সার্বভৌমত্ব হারিয়েছি: ট্রাম্প বিজিবির(লোগাং জোন) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পানছড়িতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠ জব্দ তালায় ভাগবা বাজারের পাশে বশত ঘরে আগুন, তিন লক্ষ টাকার ক্ষতি রাতে সম্পাদকের দাওয়াতে সকালে সভাপতির লাশ ধুনটে আল-ইহসান ব্লাড নেটওয়ার্কের উদ্যোগে রক্তদান ক্যাম্প অনুষ্ঠিত সম্রাট মোল্লার নেতৃত্বে চরকুমারিয়া ইউনিয়নে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ সার না পাওয়া দিশেহারা কৃষকদেরকে নিয়ে প্রশাসনের কাছে জবাব চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল ত্রিদেশী সিরিজে খেলবে না বাংলাদেশ দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনীর শিক্ষা উদ্যোগ: ৬ এতিম শিশুর দায়িত্ব তাদের হাতে

নিত্যপণ্যের বাজারে অস্বস্তি, মাছ-মুরগিতেও নেই স্বস্তি

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

অর্থনীতি ডেস্কঃ

দুই সপ্তাহ আগে বৃষ্টির কারণে হঠাৎ কাঁচা মরিচের দাম অনেকটা বেড়েছিল। তখন খুচরা দোকানে এক কেজি মরিচের দাম ৪০০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এখন সেই দাম কমেছে। বাজারে প্রতি কেজি মরিচ ১৮০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাড়া-মহল্লায় এ দাম আরও কিছুটা বেশি।

এদিকে মরিচের দাম কমলেও চড়া রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম। এখন মূলত সবজি নিয়েই সাধারণ ক্রেতাদের উদ্বেগ বেশি। কারণ, বেশির ভাগ সবজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কিছু সবজির দাম শতক ছাড়িয়েছে। সাধারণত বছরের এ সময়ে শীতের আগাম কিছু সবজি বাজারে আসে। কিন্তু এ বছর সেটি হয়নি। এর কারণও অবশ্য বৃষ্টি।

বাজারে চালের দামে কোনো পরিবর্তন নেই। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালের মধ্যে ডায়মন্ড, মঞ্জুর ও সাগর ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৮০ টাকা, রসিদ ৭২ টাকা ও মোজাম্মেল মিনিকেট ৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।

সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেগুন ও টমেটোর। এর মধ্যে ১০০ টাকার নিচে কোনো বেগুন কেনা যায় না। আকার ও ধরনভেদে প্রতি কেজি বেগুন ১০০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশে এখন টমেটো উৎপাদন হয় না; ভারত থেকে আমদানি করা টমেটো বাজারে পাওয়া যায়। এগুলোর দাম বেশি; কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।

সবজিতেও নেই স্বস্তি – করলা, কাঁকরোল, বরবটি, ঢ্যাঁড়স, লতি এই সবজিগুলোর দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা। আর পটোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল, লাউয়ের কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। তবে সবজির মান খুব ভালো অর্থাৎ টাটকা হলে অনেক বিক্রেতা আরও বেশি দাম রাখেন। অবশ্য ৪০ টাকায় এক কেজি মিষ্টিকুমড়া ও ৩০ টাকায় পেঁপে কিনে কেউ কেউ সান্ত্বনা নিতে পারেন। কারণ, এগুলোর দামই একটু কম রয়েছে। কম রয়েছে আলুর দামও। এক কেজি কেনা যায় ২০-২২ টাকায়। পেঁয়াজের ৭৫-৮০ টাকায় স্থিতিশীল আছে।

এদিকে ইলিশ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজধানীর বাজারে দেখা দিয়েছে মাছের টানাপোড়েন। গত দুই সপ্তাহ ধরে সরবরাহ কমে যাওয়ায় রুই, কাতলা, চিংড়ি, ট্যাংরা থেকে শুরু করে ছোট মাছ, সব কিছুর দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। এদিকে গত কয়েক মাস যাবৎ মধ্য-নিম্নবিত্তদের জন্য গরু-মুরগির বাজারেও স্বস্তির দেখা নেই। সবকিছুর দাম এখন ক্রেতার নাগালের বাইরে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আজকের বাজারে ইলিশ বিক্রেতাদের দেখা মেলেনি। অন্যদিকে কাচকি, ট্যাংরা, চিংড়ি, বাতাসি, পাবদা, সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে আগের তুলনায়। কাচকি মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, ট্যাংরা, কাজলি, চিংড়ি ও বাতাসি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১,০০০ টাকায়।

চাষের রুই ও কাতলা মাছ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ও সিলভার কার্প ২২০ থেকে ২৬০ টাকায়। ছোট আকারের তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী- ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা ও বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ। এতে শুধু ইলিশ নয়, নদীতে জেলেরা অন্য মাছ ধরতেও বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। যার কারণে বাজারে মাছের আমদানি কমে গিয়ে সরবরাহে সংকট দেখা দিয়েছে।

বিক্রেতাদের মতে, ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় বাজারে মাছের সরবরাহ কমে গেছে। ফলে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অন্য মাছের দাম কিছুটা বাড়ছে।

মাছ-মাংসের দাম বাড়ায় অনেকেই এখন বিকল্প হিসেবে ডিমের ওপর নির্ভর করছেন। কিন্তু প্রোটিনের এই ‘সহজ বিকল্প’-এর দামও বেড়েছে। রাজধানীর বাজারে এখন লাল ডিম ডজন প্রতি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা, সাদা ডিম ১৩৫ টাকা। প্যাকেটজাত ডিমের দাম আরও বেশি– ডজন প্রতি ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলেন, ‘সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। বৃষ্টির কারণে সবজির দাম বেড়েছে, ফলে অনেকে ডিমের দিকে ঝুঁকছেন। তাতেই চাপ পড়েছে বাজারে।’

মাছের পাশাপাশি মুরগির দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা। ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। সোনালি মুরগি ২৯০ থেকে ৩০০, আর দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়, খাসি ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়, আর বকরি ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়। দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য পণ্যদ্রব্যের সঙ্গে মিলিয়ে এখন এসবও ‘বিলাসিতা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ,কলাম,তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট